Dam
আরও পড়ুন ঃ– ভাসছে দাসপুরের শ্মশানঘাট, রাস্তার ধারেই দাহ করা হচ্ছে মৃতদেহ
পত্রিকা প্রতিনিধি: রাজ্য সরকারকে অপদস্থ করতে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় বন্যা হচ্ছে জেলায়। কেশপুর(Kespur) পরিদর্শনে এসে এমনই অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রীদের। কিছুটা কমলেও এখনো বিপদমুক্ত নয় পশ্চিম মেদিনীপুর (Medinipur)জেলার বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকা। ঘাটাল(Ghatal), দাসপুর(Daspur), কেশপুর(Keshpur) সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন এখনো জলমগ্ন। জলে ডুবে রয়েছে বাড়ি। দেওয়াল চাপা পড়ে একাধিক জনের মৃত্যুও হয়েছে জেলায়। মন্ত্রীসহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে যাচ্ছেন। দুর্গতদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। খাবার, পানীয় জল, ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে দুর্গতদের। তবে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের মন্ত্রীরা। বৃহস্পতিবার কেশপুরে রাজ্যের চার মন্ত্রী পরিদর্শনে যান।
আরও পড়ুন ঃ– মেদিনীপুর শহর লাগোয়া কংসাবতী নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা ধান জমি, মাথায় হাত কৃষকদের
পরিদর্শন শেষে ক্ষোভ উগরে দেয় কেন্দ্র সরকারের উপর। অভিযোগ করেন, ব্যারেজ থেকে ইচ্ছাকৃত ভাবে জল ছাড়া হচ্ছে রাজ্য সরকারকে অপদস্থ করতে। এদিন কেশপুরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যের চার মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া(Manas Bhunia), শিউলি সাহা(Siuli Saha), হুমায়ুন কবীর(Humayun Kabir), শ্রীকান্ত মাহাতো(Srikanta Mahata)। বন্যা কবলিত মানুষদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, নদী সংস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটা টাকাও দিচ্ছে না। আর নদী সংস্কার না হওয়ায় নাব্যতা কমে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। সংসদে একাধিকবার জানালেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চুপ থেকেছেন কোনো উত্তর না দিয়ে। হুমায়ুন কবীর অভিযোগ করেন, আগাম না জানিয়ে ব্যারেজগুলি থেকে জল ছাড়া হচ্ছে রাজ্য সরকারকে অপদস্থ করার জন্য। এর ফলে নদী তীরবর্তী বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে।
Dam
আরও পড়ুন ঃ– ক্যান্সার রোগীদের জন্য শখের চুল কেটে দান করলেন মেদিনীকন্যা পায়েল
জেলার বিভিন্ন এলাকা এখনও জলমগ্ন। বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার কাজের পাশাপাশি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। তার মাঝেও নানারকম ক্ষোভ রয়েছে একাংশের। অভিযোগ, খাবার ও পানীয় জল মিলছে না ঠিকমতো। অন্যদিকে মেদিনীপুর সদর (MEDINIPUR Sadar)ব্লকের গুড়গুড়িপাল(Gurguripal) থানা এলাকায় কংসাবতী নদীর পাড় ভেঙে নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি। তারাও দিশেহারা রোজগারের একমাত্র সম্বল নদীতে চলে যাওয়ায়। তবে পাড় বাঁধানোর প্রশাসন কোনো ভূমিকা গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ তাঁদের।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Dam
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore