ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: রাজ্যে ৮২০৭ সরকারি প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিল এবং সমস্ত শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে শুক্রবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ডিএসও। সেই ধর্মঘটের সমর্থনে শহরে মিছিল-পিকেটিং করে সংগঠনের সদস্যরা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
ধর্মঘটের সমর্থনে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ডিএসও সমর্থকরা। তখনই হামলার অভিযোগ ওঠে টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে জখম তিনজন ডিএসও কর্মী। এদিন সকাল থেকেই ধর্মঘটের সমর্থনে ডিএসও-এর পক্ষ থেকে মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল ও পিকেটিং শুরু হয়েছিল।
মেদিনীপুর কলেজ গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তারা। সেখানেও টিএমসিপি (তৃণমূল ছাত্র পরিষদ)-এর কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হয়েছেন দীপঙ্কর বেরা, পার্থ মাজি নামে দুই ছাত্র। ডিএসও’র অভিযোগ, মেদিনীপুর কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেই। বহিরাগতরা এসে হামলা চালিয়েছে। একইভাবে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটেও বহিরাগত টিএমসিপি কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে যায় পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষে বিবেকানন্দ বর্মন, তাপস জানা, মলয় দাস নামে তিনজন ডিএসও কর্মী আহত হয়েছেন বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ডিএসও’র জেলা সম্পাদিকা তনুশ্রী বেজ বলেন, “মেদিনীপুর কলেজ ও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপি বহিরাগত গুন্ডা এনে হামলা চালিয়েছে।
আহতদের মধ্যে দু’জনকে মেদিনীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপি’র সংগঠন যে দুর্বল তা মানছেন এক ছাত্র নেতা। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিএমসিপি’র জেলা সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “টিএমসিপি কোথাও হামলা চালায় নি। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা গেটে ঢুকতে পারছিল না। তখনই তাদের সঙ্গে বচসা হয়।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore College
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper