Jawad Cyclone
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: ইয়াসের পর জাওয়াদ ঘিরে নতুন করে বিপর্যয়ের আশঙ্কা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। ঘূর্ণিঝড়ের বিপর্যয় এড়াতে তৎপর জেলা প্রশাসন। এবার আশঙ্কার নাম জাওয়াদ। যারা এখনো পর্যন্ত ল্যান্ডফল উড়িষ্যা উপকূল। কিন্তু এর সরাসরি প্রভাব পড়বে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। জেলার বুক থেকে এখনো ইয়াসের ক্ষত সারেনি। উপকূলবর্তী এলাকায় এখনো চোখে পড়ে ইয়াসের ধ্বংসস্তূপ। ইয়াসের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার একটা ঘূর্ণিঝড়ের বিপর্যয়ের সম্মুখীন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকা।
আরও পড়ুন:- হাতির হানা নাকি অন্য কারণ, পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুরে ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে ধন্দ
আরও পড়ুন:-পশ্চিম মেদিনীপুরে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২ জনের , আহত ৬
তবে ইয়াসের মত বিপর্যয় এড়াতে তৎপর জেলা প্রশাসন। দিঘা সহ উপকূলবর্তী এলাকায় চূড়ান্ত সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে মাইকিং। দীঘায় পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে সোমবার পর্যন্ত। মৎস্যজীবীদের ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর প্রায় ১২০০ টি মৎস্যজীবি ট্রলার সমুদ্র পাড়ি দিয়েছে মৎস্য শিকারের উদ্দেশ্যে। তাদের এদিন সন্ধ্যের মধ্যেই ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়ার কারণে দিঘায় সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বেলা যত বাড়ছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ছে।
আরও পড়ুন:- “জাওয়াদ” আসছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে মাইকিং প্রশাসনের
Jawad Cyclone
আরও পড়ুন:- ধেয়ে আসছে ‘জাওয়াদ’, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ, দিঘায় দুর্যোগের অশনি সঙ্কেত!
ইয়াস থেকে শিক্ষা নিয়ে, দিঘা জুড়ে প্রশাসনের কড়া নজরদারি। বন্ধ রাখা হয়েছে দোকানপাট। পর্যটকদের হোটেলের বাইরে না বেরোনোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। দিঘা সমুদ্র সৈকত থেকে দিঘা রাস্তা কার্যত ফাঁকা শুনশান।উল্লেখ্যভাবে জেলাজুড়ে ৬২-৬৩টা সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে কয়েক ঘন্টার মধ্যে যাতে ১ লক্ষ লোককে সাইক্লোন শেল্টারে সরানো যায়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। দীঘা সংলগ্ন আলমপুর, চাঁদপুরের মতো নিচু জায়গাগুলো থেকে ইতিমধ্যে ৫৫০০-৬০০০ লোককে সরানো হয়েছে। নিচু এলাকাগুলি থেকে আরও লোক সরানোর কাজ চলছে।
আরও পড়ুন:- ক্ষতি এড়িয়ে বর্ধমান ও বাঁকুড়া দাপানো হাতির পালকে সরাতে পথ খোঁজা শুরু মেদিনীপুর বনবিভাগের
Jawad Cyclone
শুক্রবারই সমুদ্র থেকে সব নৌকো ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কোথাও কোনও নৌকো রয়ে গিয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে আকাশপথে পরিদর্শন চলছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে মৎস্যজীবীদের শুক্রবার পর্যন্ত সমুদ্র যেতে বারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় এখন পর্যন্ত একটি NDRF টিম ও একটি SDRF টিম মোতায়েন করা হয়েছে। দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুরে বহু পর্যটক রয়েছেন। তাঁদের সতর্ক করতে মাইকিং চলছে। কোনও পর্যটক যাতে কোনওরকম অ্যাডভেঞ্চার করতে সমুদ্র নামতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে পুলিসের পাশাপাশি রয়েছে সমুদ্র সৈকতে মোতায়েন করা হয়েছে জিএমজি টিমও।
আরও পড়ুন:-এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে খোয়াড় পাহারায় সিভিক ভলান্টিয়ার, চিকিৎসায় ডাক্তার
পাশাপাশি ইয়াসের সময় প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছিল। ভেরিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এবার আগে থেকেই চাষীদের ধান সহ প্রয়োজনীয় ফসল কেটে নিতে বলা হয়েছে। অপরদিকে, ভারী বৃষ্টির ফলে জল যাতে বেশিক্ষণ জমে থেকে ফসলের ক্ষতি করতে না পারে, তাই জল দ্রুত বের করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে তাজপুর, চাঁদপুর, শঙ্করপুর ,দীঘা সহ উপকূলবর্তী একাধিক এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি বলেন, বিপর্যয় মোকাবিলায় সমস্ত রকম প্রস্তুতি চূড়ান্ত। তাছাড়া পরিস্থিতি খারাপ হলে মূলত নিচু জায়গায় থাকা ঘরের মধ্যে জল ঢুকার সম্ভাবনা থাকে।
Jawad Cyclone
আরও পড়ুন:- কাঁথিতে বিরোধী দলনেতার কর্মসূচি ফ্লপ বলে কটাক্ষ মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির
সে জন্য সেই এলাকায় থাকা লোকগুলিকে উদ্ধার করে আশ্রয়ে তুলে নেবো। তাদের আইলা সেন্টারে রাখা হবে। তাদের জন্য খাওয়ার জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া কিন্তু জায়গার খবর নিলাম যাদের হোটেল বুকিং আছে তাদের মধ্যে কিছু পর্যটক এসেছে। আবার অনেকেই আসেননি, তাদের বুকিং বাতিল করেছে এবং আমরা হোটেল মালিকদের বলেছি যত কম সংখ্যক পর্যটকরা আসেন তাতে ভালো হয়। তাছাড়া যে সমস্ত পর্যটকরা এসেছে তারা যেন বেশি সময় সমুদ্রে ধরে ঘোরাফেরা না করেন।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Jawad Cyclone
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: After Yas, there is a risk of a new disaster around the East Midnapore district. The district administration is keen to avoid the cyclone disaster. This time the name of the threat is Jawad. Those are still the landfall coast of Orissa. But it will have a direct impact on the entire East Midnapore district. Yas’s wounds have not yet healed from the district’s chest. The ruins of Yas are still visible in the coastal area. The coastal area of East Midnapore district was hit by another cyclone soon after the Yas disaster.
However, the district administration is keen to avoid disasters like Yas. Final precautions have been taken in coastal areas including Digha. Miking is going on on behalf of the administration. Tourists have been banned from swimming in Digha till Monday. Fishermen have been instructed to return. According to administration sources, about 1,200 fishing trawlers have crossed the sea for fishing. They have been instructed to return by this evening. However, due to the cyclone, it has started raining in Digha since morning. The amount of rainfall is increasing as the day progresses.
Learning from Yas, the administration is keeping a close eye on Digha. Shops have been closed. The administration has instructed the tourists not to leave the hotel. Digha road from Digha beach is practically empty. It may be mentioned that 62-63 cyclone shelters have been constructed in the district. In case of emergency, arrangements have been made to evacuate 100,000 people to the cyclone shelter within a few hours. As a result, 5500-6000 people have already been evacuated from low-lying areas like Alampur, Chandpur adjoining Digha. Work is underway to evacuate more people from low-lying areas.
All the boats were brought back from the sea on Friday. Airborne inspections are underway to ascertain whether any boats remain. Besides, the administration has banned fishermen from going to sea till Friday. An NDRF team and an SDRF team have already been deployed in the district so far. There are many tourists in Digha, Shankarpur, Tajpur. Miking is going on to warn them. For this reason, a GMG team has been deployed along with the police to ensure that no tourist can venture into the sea for any adventure.
Besides, a lot of crops were lost during Yas. Verio is also damaged. After that experience, the farmers have already been asked to harvest the required crop including paddy. On the other hand, due to heavy rains, water has not been frozen for a long time to damage the crop, so arrangements have been made to drain the water quickly. In this situation, the Minister of State Akhil Giri observed the situation in several coastal areas including Tajpur, Chandpur, Shankarpur and Digha. He said all preparations for the disaster were final. Moreover, if the situation is bad, there is a possibility of water entering the house which is located in a low place.
For that, I will rescue the people in that area and take them to the shelter. They will be kept at Aila Center. Drinking water and electricity have been provided to them. They have been provided with dry food and cooked food. Moreover, I took the news of the place, some tourists have come who have hotel bookings. Again many did not come, their bookings were canceled and we told the hotel owners that the less number of tourists came the better. Moreover, all the tourists who have come should not spend much time in the sea.