পত্রিকা প্রতিনিধিঃ ভিন রাজ্য ফেরত শ্রমিকদের মাধ্যেমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, আবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন জেলার চন্দ্রকোনার এক যুবক । ঐ যুবক চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের মাড়গ্রামের বাসিন্দা। জানা যায় তিনি ২২ মে দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরেন। সেখানে তিনি সোনার কাজ করতেন। গত ২২ মে তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে মেদিনীপুর মেডিক্যালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সোমবার ১১টা নাগাদ তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। স্বাস্থ্য দফতরের তৎপরতায় তাঁকে করোনা লেভেল ৩ বড়মা সিরোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা আক্রান্তের খবর জানাজানি হতেই পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় এলাকা বাঁশ দিয়ে ঘিরে পুলিশ পিকেট বসানো হয়। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই যুবক বাড়ি ফিরে কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন। যুবকের পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকর নির্দেশ দেওয়া হয়।
পূর্ব ও পশ্চিমে করোনা সংক্রমণ চলছেই, দুই জেলায় আক্রান্ত ৩, চন্দ্রকোনায় পুলিশ পিকেট
অপরদিকে মহারাষ্ট্র থেকে আসা দুজন পরিযায়ী শ্রমিকদের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলল পটাশপুরে। জানা গিয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে পটাশপুর থানার মংলামাড়ো গ্রামে ২জন পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছিলেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বাড়ির ফেরার সময় তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এরপর সোমবার সকালে পটাশপুর গ্রামীণ হাসপ্তালের স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের সহায়তায় ওই দুইজন যুবককে করোনা লেভেল-৩ পাঁশকুড়া বড়মা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পূর্বমেদিনীপুর স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঐ দুই যুবকের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছেন। দুই যুবকের পরিবারের লোকেদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর ঘাটালের শীতল্পুর ও দাসপুরের দানিকোলায় ৪জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় ওই ৪জন যুবককেই বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরীশ চন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, রবিবার দাসপুর ও ঘাটালে ২জন করে মোট ৪জনের মধ্যে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। সোমবার চন্দ্রকোনা-১ ব্লকে এক জনের করোনা পজিটিভের সন্ধান মিলেছে। এখনও পর্যন্ত বড়মা হাসপাতালে জেলার ১১ জন ভর্তি রয়েছেন।