পত্রিকা প্রতিনিধি :পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কোন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে ।স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে গত ৬ জুনের রিপোর্ট অনুযায়ী গড়বেতায় একসাথে মোট ১৪ জনের করোনা সংক্রমণের হদিস মেলে । জানা যায় এরা প্রত্যেকেই ভিন রাজ্য যেমন গুজরাট, দিল্লি, মহারাষ্ট্র থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন অর্থাৎ পরিযায়ী শ্রমিক ।প্রথম আক্রান্তকারি রসকুণ্ডু১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের যুবক (১৭) গত ১৯ মে বাসে করে গুজরাট থেকে ফেরেন। দ্বিতীয় (দিল্লী ফেরত,৩২)তৃতীয় (মহারাষ্ট্র ফেরত,২৮) চতুর্থ (মহারাষ্ট্র ফেরত,২৫), পঞ্চম (মহারাষ্ট্র ফেরত,৩৭) , ষষ্ঠ (মহারাষ্ট্র ফেরত,৩০) ও সপ্তম আক্রান্ত কারী (দিল্লী ফেরত,১৭) ১২ নং খড়কুশমা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। অষ্টম আক্রান্ত কারি (দিল্লি ফেরত,১৮)১০ নং গরঞ্জা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ।নবম, দশমও একাদশ ১২ নম্বর খড়্কুশমা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা।এরা প্রত্যেকেই দিল্লি ফেরতবয়স যথাক্রমে ২০,১৬ ও১৭। দ্বাদশ(১৬) ও ত্রয়োদশ(১৭) ৫ নং ধাদিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা।এই দুই যুবক দিল্লি ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক । চতুর্দশ আক্রান্ত কারি(২১) ১২ নং খড়্কুশমা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা , ইনিও দিল্লি থেকে এসেছিলেন ।গড়বেতার ১৪ জন পরিযায়ী শ্রমিক বাসও ট্রেনযোগে ভিন্ন রাজ্য থেকে এসেছিলেন । এরা প্রত্যেকেই যথাক্রমে ১৯মে, ২৩ মে,২৪ মে ও ২৬ মে বাড়ি ফেরেন ।বাড়ি ফেরার সময় এই করোন আক্রান্ত কারীদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ (২৪মে ও ২৭ মে)করা হয়েছিল ।শনিবার রাতের শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী এদের প্রত্যেকের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে । রবিবার সকালেই ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় প্রত্যেককেই পাঁশকুড়ার করোনা লেভেল ৩ বড়মা সিরোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপরদিকে দাসপুর ১ ব্লকে একদিনে ২৭ জনের করোনা সংক্রমণের হদিস মিলেছে । দাসপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর ২ ও মজলিশপুর ১ মিলে ৩ জন, দাসপুর ২গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাবাজার ,গেঁড়িবুড়িতলা ও সাগরপুর মিলে মোট ১১জন, পাঁচবেড়িয়া ৬ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাইকুন্ডু, জটাধরপুর, জ্যোতগৌরাঙ্গপুর ,কুঞ্জ পুর, কিসমতরাধাকান্তপুর মিলে মোট ৬ জন, নাড়াজোল দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের দানিকোলায় ২জন, রাজনগর ৩ গ্রাম পঞ্চায়েতের সামাট ও হরিরামপুর এলাকায় ৩ জন, নন্দনপুর১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলন্দতে ১জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন । ১ জনের রিপোর্ট আমাদের কাছে এসে এখনো পৌঁছায়নি ।
এছাড়াও গোয়ালতোড়ের বালি বাঁধ এলাকায় ফের ১ করোণা আক্রান্তের সংক্রমণ ঘটে ।জানা যায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন থাকার পর তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে । রবিবার সকালে স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় ফের লাল রসের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ।স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে শনিবার রাতের শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় মোট ৪২ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে ।