পত্রিকা প্রতিনিধি : সকাল থেকে চলত বিকিকিনি।শাক-সবজি,ভুসিমাল,রকমারি দোকান বেলদার নন্দ মার্কেট এলাকায়।ঘিঞ্চি পরিস্থিতিতে বেলদার এই মার্কেট চত্ত্বরে চলত ব্যবসা।চাল থেকে মাছ,মাংস,কাঁচা সবজি থেকে কাপড়,ভুসিমাল থেকে সকালের টিফিন সবই চলত এই এলাকায়।লাইব্রেরি কিংবা জিমনেশিয়াম ও রয়েছে বেলদার নন্দ মার্কেট এলাকায়।আর বেলদার নন্দ মার্কেট এলাকায় একই পরিবারে পরপর দুজনের রিপোর্টে পজিটিভ আসায় আতঙ্ক ও উদ্বেগ মানুষের মধ্যে।দিন চারেক আগে নন্দ মার্কেট এলাকার এক বাসিন্দা রাজ্য বিজেপির সক্রিয় সদস্যার নমুনা সংগ্রহের পর রিপোর্টে পজিটিভ এলে আতঙ্ক বাড়ে সাধারন মানুষের মধ্যে।চাঞ্চল্য দেখা যায় পুলিশের মধ্যে।দোকানপাট বন্ধ করে কনটেনমেন্ট জোন করা হয় বেলদা নন্দ মার্কেট চত্তর।বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় প্রবেশ পথ গুলি।ভেতরের ব্যবসায়ীদের বেলদা তে মেন রোডের দুইদিকে বসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।এরপর বিজেপি নেত্রীর এক মেয়ের রিপোর্ট পজিটিভ এলে আরও আঁটোসাটো করা হয় নিরাপত্তা।প্রত্যেকটি প্রবেশ গেটে সিভিক ২৪ ঘন্টা সজাগ থাকলেও নন্দ মার্কেটের ভিতরে থাকছে পুলিশি নজরদারী।
একসময়ের কোলাহল পূর্ন নন্দ মার্কেট এলাকা এখন শ্মশান সম শুনশান।নেই চিৎকার,বিক্রির জন্য দেদার হাঁকডাক।নির্জনতা একাকিত্ব গ্রাস করেছে নন্দ মার্কেট এলাকা কে।যদিও প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি নন্দ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রা।এক বাসিন্দা অর্ক দাস বলেন-“প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি আমরা সকলে।প্রতিদিন যে পরিমান ভিড় হত,মানুষের আনাগোনা হত,সেখানে শারিরীক দূরত্বের বালাই নেই।তবে সংক্রমন এড়াতে পুলিশ যথেষ্ট সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছে।”মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার,খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য সব সময় রয়েছে থানা ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবকরা।করোনা পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে সবকিছু।একসময়ের শব্দের উৎস আজ নিঃসঙ্গ।একাকিত্বের অন্ধকারে নন্দ মার্কেট।