Nandigram
আরও পড়ুন ঃ–ভোটের দিন নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু , উত্তপ্ত এলাকা
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ ২১ শে নির্বাচনে যে কেন্দ্র নজর কেড়েছে তা হল হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম। আর সেই নন্দীগ্রামের নন্দনায়েকবাড়ের ৭৬ নং বুথে বৃহস্পতিবার সাতসকালে গিয়ে ভোট বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তবে ভোট দেওয়ার আগে স্নান সেরে সাত সকালে হাজির হয়ে যান রেয়াপাড়ার দলীয় কার্যালয়ে।
এদিন ধোপদূরস্ত শুভেন্দুর পরনে ছিল তাঁর পছন্দের সাদা পাজামা-পাঞ্জাবী। কপালে গেরুয়া তিলক। এদিন কাঁথির বাড়ি থেকে কালো স্করপিওতে চেপে ভোটকেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। তবে ভোটকেন্দ্রের আগে পেট্রল পাম্পের কাছে গাড়ি থেকে নেমে বাইকে করে গিয়েছিলেন নন্দনায়েকবাড় প্রাথমিক স্কুলের ভোটকেন্দ্রে। তবে এদিন শুভেন্দু ভোটকেন্দ্রে যেতেই লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ ছড়ায়। নিয়মবিধি মেনে সকলের মতো হাতে ভোটার কার্ড নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর বুথের মধ্যে ঢুকে ভোট দেন তিনি।
তবে ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, ‘এবারে উন্নয়ন জিতবে এবং তোষণ পরাস্ত হবে।’ তাঁর কথায়, “সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। আমার তরফ থেকে তেমন কোনও অভিযোগ নেই। দু’টি বুথে আমার এজেন্টদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। তবে, সমস্যা মিটে গিয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হোক। নিয়ম মেনেই হোক। ‘‘ভোটারদের কোনও অসুবিধায় ফেলতে চাই না।’’ ভোটারদের একাংশ শুভেন্দুকে সামনে এগিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘‘আপনার আজ অনেক ব্যস্ততা। তাড়াতাড়ি ভোট দিন।’’ তার পরই ভোট দিতে এগিয়ে যান তিনি। ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে দুই আঙুল তুলে ভিকট্রি চিহ্ন দেখিয়ে দাবি করেন, তিনিই জিতবেন। বহু বুথে তৃণমূল এজেন্ট দিতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল কেন এজেন্ট দিতে পারেনি সেটা ওরা বলবে।’ কেশপুরের মৃত্যু নিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যু দুঃখজনক। তবে সেটা রাজনৈতিক সংঘর্ষে হয়েছে না অসুস্থতার কারণে, সেটা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। ভোটে যারা হারে তারা এসব বলে। একজম যেমন ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে ঘুরছিলেন। বেগম হারছে। বিকাশ জিতছে। ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ। ৭০-৮০ বুথে তৃণমূলের এজেন্ট নেই। যে বুথে ভোটারদের বিরক্ত করা হবে, সেখানে যাব।’
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Nandigram
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore