ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা NEET-এ নজরকাড়া সাফল্য পেল পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর। দুই জেলার তিন ছাত্র অভাবনীয় ফল করে চমকে দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দাসপুর-১ ব্লকের সুলতাননগরে এক ভাগচাষির ছেলেও রয়েছেন। বাবা অন্যের জমিতে ভাগচাষ ও ১০০ দিনের কাজ করে সংসার চালান। সেই পরিবারের সন্তান শুভম ঘোষ সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় ১১০২ র্যাঙ্ক করেছেন। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেণিতে (ক্যাটাগরিতে)সর্বভারতীয় স্তরে ১০১ র্যাঙ্ক করেছেন। তিনি ৭২০-র মধ্যে ৬৭৬ নম্বর পেয়েছেন। শুভমের ওই সাফল্যে খুশি ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন:– খড়্গপুরে যুবককে লক্ষ্য করে গুলি, ২ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে চম্পট দুষ্কৃতীরা
ছোট থেকেই শুভমের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্নকে সামনে রেখেই তিনি পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা তাঁকে বারবার পিছনের দিকে টানলেও স্বপ্ন পূরণের অদম্য জেদ কখনও দমিয়ে রাখতে পারেনি। শুভম কলোড়া হাইস্কুলে পড়াশোনা করতেন। মাধ্যমিকে তিনি ৬৬৮ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৮৩ নম্বর পেয়েছিলেন। শুভম ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। গত বছরও নিট দিয়েছিলেন। কিন্তু, ভালো ফল হয়নি। তারপর তাঁর জেদ আরও চেপে বসে। তাই তিনি স্নাতকস্তরে ভর্তি হননি। প্রবেশিকা পরীক্ষাকে লক্ষ্য করে প্রত্যেক দিন ১৮-২০ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন।
আরও পড়ুন:– সর্বভারতীয় NEET-এ ৮২ র্যাঙ্ক করলেন মেদিনীপুরের অনির্বাণ, AIIMS-এ পড়ে চিকিৎসক হওয়াই লক্ষ্য
তিনি বলেন, অনলাইনে একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হলেও বাড়িতে নিজে নিজেই পড়তাম। অতিরিক্ত কোনও কোচিং ছিল না। কোচিং নিলে বিশাল টাকার দরকার। তা বহন করার মতো পারিবারিক পরিস্থিতি নেই। শুভমের বোন ঋত্বিকা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। নিজেদের জমি রয়েছে মাত্র বিঘা দেড়েক। শুভমের বাবা দিলীপ ঘোষ এবং মা চায়না ঘোষ বলেন, অন্যের জমি ভাগে চাষ করে সংসার চালান। ‘ NEET’-এর ফলাফলে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির মুরলীচক গ্রামের সুদিত বরণ বাকরা SC র্যাঙ্কিংয়ে ১১৭ এবং জেনারেলে ৬৩৫৯স্থান লাভ করেছেন। সুদিত পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা করেছেন। মাধ্যমিকে ৬৬৪ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি ৪৬৭নম্বর পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:– কাঁথিতে তৃণমূলের মিছিলে বোমাবাজি , বিজেপির কোনও সম্পর্কই নেই দাবি তৃণমূল নেতার অখিলের
সুদিতের বাবা সুদিনসরণ বাকরা নন্দীগ্রামের টাকাপুরা আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক। মা সুবর্ণলতা বাকরা গৃহবধূ। সুদিতের এই সাফল্যে পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে সকলেই খুশি। অপরদিকে NEET-এ সর্বভারতীয় স্তরে ৮২ র্যাঙ্ক করেন মেদিনীপুরের অনির্বাণ দে। অনির্বাণ মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়েছেন। মাধ্যমিকে ৬৬৬ এবং উচ্চমাধ্যমিকে ৪৮৯ পেয়েছিলেন। NEET-এ তার প্রাপ্ত নম্বর ৭২০ এর মধ্যে ৭০৫। সোমবার রাতে ফলাফল জানার পর খুশির হাওয়া অনির্বাণের পরিবারে।
আরও পড়ুন:- ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়মাল গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিবের বিরুদ্ধে
খড়গপুর আইআইটিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ভর্তি হন নি। তার লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়া। অনির্বাণের বাড়ি মেদিনীপুর শহরের দেশবন্ধু নগরে। বাবা চন্দন দে কলকাতার বিকাশ ভবনের সরকারি কর্মী, মা গৃহবধূ। ছেলের সাফল্যে খুশি অনির্বাণের বাবা-মা, পরিজনেরা। দিল্লির এইমস-এ আপাতত ভর্তি হবেন বলে ঠিক করেছেন। অনির্বাণ বলেন, তার এই সাফল্যের জন্য তার বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদান অনস্বীকার্য। একজন ভাল চিকিৎসক হয়ে সকলের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর শহর ও শহর সংলগ্ন ছেড়ুয়ায় ৬০ কেজিরও বেশী নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
NEET
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: East and West Midnapore have achieved remarkable success in the All India Medical Entrance Examination (NEET). Three students from two districts have given unexpected results. Among them is the son of a sharecropper in Sultannagar of Daspur-1 block. My father farmed on other people’s land and worked for 100 days to support his family. Shubham Ghosh, the son of that family, has scored 1102 in the All India Medical Entrance Examination. Ranked 101 at the All India level in the economically backward category. He got 676 out of 720 marks. The residents of Ghatal subdivision are happy with the success of Shubham.
Shubham had a dream of becoming a doctor since childhood. With that dream in mind, he continued his studies. Although the economic situation of the house repeatedly pushed him backward, his indomitable insistence on fulfilling his dream could never be suppressed. Shubham used to study in Kalora High School. He got 668 marks in Madhyamik and 483 marks in the higher secondary exam. Shubham passed higher secondary in 2020. Last year also gave net. But, the results were not good. Then his stubbornness became more pressing. So he was not admitted to the undergraduate level. He used to study for 18-20 hours every day for the entrance examination.
He said that even though he was admitted to a coaching center online, he used to study by himself at home. There was no extra coaching. Coaching requires a lot of money. There is no family situation to bear it. Shubham’s sister Ritwika is in second class. They have only one and a half bighas of land. Shubham’s father Dilip Ghosh and mother China Ghosh said they run their family by cultivating other people’s land. According to NEET, Sudit Baran Bakra of Murlichak village in Khejuri, East Midnapore, has secured 117th position in the SC rankings and 6359th position in the General. Sudit studied at Purulia Ramakrishna Mission Vidyapeeth from the 5th to 12th class. He got 664 marks in Madhyamik and 467 marks in the higher secondary exam.
Sudit’s father Sudinsaran Bakra is a teacher at Takapura Adarsh Vidyapeeth in Nandigram. Mother Subarnalata Bakra is a housewife. Everyone from the family is happy with Sudit’s success. On the other hand, Anirban Dey of Midnapore was ranked 82nd in NEET at the all-India level. Anirban is a student of Medinipur Collegiate School. Got good marks in secondary and higher secondary examinations. He got 666 marks in Madhyamik and 489 marks in the higher secondary exam. His score in NEET is 705 out of 720. Happy Anirban’s family after learning the results on Monday night.
He got an opportunity in Civil Engineering at Kharagpur IIT. But was not admitted there. His goal is to become a doctor. Anirban’s home is in Deshbandhu Nagar in Medinipur city. Father Chandan Dey is a government worker in Bikash Bhaban, Kolkata, mother is a housewife. Anirban’s parents and relatives are happy with his son’s success. He has decided to be admitted to the AIIMS in Delhi for the time being. Anirban said that the contribution of his parents and teachers to his success is undeniable. I want to fulfill everyone’s dream of becoming a good doctor.