পত্রিকা প্রতিনিধি: করোনাভাইরাস এ দেশ আতঙ্কিত তার জন্য কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার ভারতবাসীর জন্য লকডাউন থেকে শুরু করে সমস্ত রকমের আইনি বন্দোবস্ত নিয়েছে। এবং আক্রান্ত কারীদের সুস্থতা ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন জায়গায় কোভিড হাসপাতাল ইতিমধ্যে তৈরি করেছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেশ কয়েকটি বেসরকারি নার্সিংহোম কে সরকারি ভাবে চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে ঘোষণা করেছে। Haldia, haldia
আরো পড়ুন- IIT খড়্গপুরের ২জন সহ ফের রেলশহরে করোনায় আক্রান্ত ৪৮ জন, ডেবরা ও গড়বেতার ১০ জন সহ জেলায় ১৬৩
কিন্তু হলদিয়া বন্দরের শ্রমিকদের জন্য তাদের নিজস্ব হাসপাতালের পাশে বিবি ঘোষ অডিটোরিয়ামে “কোভিড আশ্রম” নামে আক্রান্ত কারীদের চিকিৎসা করার জন্য রাখা হয়েছে। ভারত সরকারের জাহাজ মন্ত্রকের উদ্যোগে বন্দরের সমস্ত শ্রমিকদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার বিমা ঘোষণা করেছেন। কারণ বন্দরের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কাজ বন্ধ না হয়। এবং বন্দরের শ্রমিকদের মনোবল তৈরি করার জন্য এই বীমা ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যে বন্দরের কয়েকজন নাবিক থেকে শুরু করে শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন কয়েকজন বন্দরের প্রাপ্তন আক্রান্ত হয়ে মারাও গেছেন।রাজ্য সরকার কোভিড হাসপাতালের জন্য নির্দিষ্ট খাওয়ার সহ ঔষধ বিনা পয়সায় বহন করছেন সেখানে দাঁড়িয়ে হলদিয়া বন্দরের শ্রমিকরা তাদের নিজস্ব কোভিড আশ্রমের চরম অব্যবস্থা। কলকাতা পোর্ট (শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী) সেখানে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য খাদ্য টাকা বরাদ্দ করেছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে শিল্পশহর হলদিয়া বন্দরের বিমাতৃসুলভ নজরে দেখছেন। আক্রান্ত কারীদের খাদ্য সবথেকে নিম্নমানের, বলে অভিযোগ করলেন বন্দরের শ্রমিক নেতা।
হলদিয়া বন্দর সারা ভারতবর্ষের মধ্যে স্বচ্ছতা জন্য প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। আর সেই বন্দরের হাসপাতাল করোনা মহামারী আক্রান্ত কারীরা যারা রয়েছেন তাদের জন্য সবথেকে নিম্নমানের খাদ্য তালিকা থেকে শুরু করে হাসপাতালে বাথরুম সবটাই সবথেকে জঘন্যতম অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভারত সরকারের জাহাজ মন্ত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী কোভিড আক্রান্তকারী দে সেবা করার জন্যে বলছেন অর্থাৎ রোগ কে ঘৃণা করো রোগীকে নয়, যারা কোভিড আশ্রমে ভর্তি আছেন তাদেরকে বাসি রুটি তরকারি এবং টিফিনে চানাচুর মুড়ি খেতে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন। যারা আক্রান্ত তাদের সুষম খাদ্য ভিটামিন সি’যুক্ত দেওয়ার কথা বলছেন, সেটা বাদ দিয়ে কর্তৃপক্ষ বাসি রুটি সোয়াবিনের তরকারি চানাচুর মুড়ি খাবার দিচ্ছেন তারা উপযুক্ত খাদ্য না পেলে সুস্থ হবেন কি করে এই অভিযোগ আনলেন ভারতীয় মজদুর সংঘ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কার্যকরী সভাপতি কলকাতা হলদিয়া পোর্ট ভারতীয় মজদুর সংঘের সম্পাদক প্রদীপ বিজলী।সংক্রমণের সংখ্যার সাথে সাথে সুস্থতা সংখ্যাও সমানতালে বেড়ে চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একের পর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করে চলেছে। কোভিড হাসপাতাল, সেফ হোম থেকে শুরু করে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।বন্দর কর্তৃপক্ষ জানালেন প্রদীপবাবু যে অভিযোগগুলো করেছেন সেগুলি ভিত্তিহীন। এই কোভিড আশ্রম থেকে বন্দরের বহু আধিকারিক অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখনো আট জন ভর্তি আছেন, তাদের কারোর কোন অভিযোগ নেই। উনি যে অভিযোগগুলো এনেছেন আমরা সেগুলি খতিয়ে দেখব।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi