Gurguripal High School : লক্ষ লক্ষ টাকা আর্থিক তছরুপ! এমনই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় গ্রামবাসী ও অভিভাবকরা। একই অভিযোগ পরিচালন সমিতিরও। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর সদরের গুড়গুড়িপাল হাইস্কুলের গেটে পোস্টার চিটিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পড়াশোনা হয় না ঠিক মতো, ক্লাসেও যেতে চান না অনেক শিক্ষক। পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ টাকা আর্থিক তছরুপ! এমনই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় গ্রামবাসী ও অভিভাবকরা। একই অভিযোগ পরিচালন সমিতিরও। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর সদরের গুড়গুড়িপাল হাইস্কুলের গেটে পোস্টার চিটিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, উন্নয়নমূলক বিভিন্ন ফান্ডে টাকা এলে সেই টাকা খরচ না করে আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষক গৌতম ভৌমিক। বিজ্ঞান বিভাগে ল্যাবরেটরির জন্য প্রায় 13 লক্ষ টাকা এসেছে। বিল্ডিং সারানোর জন্য 20 লক্ষ টাকা। সেই টাকায় কোন কাজ না করে প্রধান শিক্ষক অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত টাকা তুলে নিয়েছেন। তবে এই দুর্নীতির পেছনে বিগত পরিচালন সমিতিকে দায়ী করছেন বিক্ষোভকারীরা।
অভিযোগ পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক জড়িত রয়েছেন এই দুর্নীতির পেছনে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নির্মল মাঝি ও সূর্যকান্ত ঘোষ বলেন, “স্কুলে পড়াশোনা ঠিক মতো হয় না। বিভিন্ন ল্যাবরেটরির পরিকাঠামোর উন্নয়নের টাকা এলেও তার কাজ না হওয়ায় ভালো ছাত্র ছাত্রীরা অন্য স্কুলে চলে যাচ্ছে ভর্তি হতে। এমনকি করোনার সময় হোস্টেল বন্ধ থাকলেও ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলে প্রধান শিক্ষক কর্মচারীদের পাঠিয়ে তাদের বাড়ি থেকে সেই টাকা আদায় করে নিয়ে আসে।
কিন্তু সেই টাকার হিসেব কমিটি পাইনি। প্রধান শিক্ষককে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি নন।” তাদের আরও অভিযোগ, “স্কুলে পড়াশোনা ভালো না হওয়ায় বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে চাইছে না ছাত্র ছাত্রীরা। কোন শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে তার পরিবর্তে অন্য কোন শিক্ষক ক্লাসে পড়ানোর জন্য যেতে চান না। শিক্ষকরা দুটি দলে বিভক্ত। এতে প্রধান শিক্ষক গৌতম ভৌমিকের মদত রয়েছে।” প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মানছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিচালন সমিতির সভাপতি দীপক অধিকারী।
তিনি বলেন, “প্রধান শিক্ষক পরিচালন সমিতির সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ না করে নিজ মর্জিতে কাজ করে যান। পরিচালন কমিটির সদস্যদের ফোন নম্বর পর্যন্ত ব্লক লিস্ট করে রেখেছেন। আগের সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করে যেভাবে টাকা তছরুপ করেছেন সেভাবে কাজ করতে চাইছেন উনি। কিন্তু আমরা বলেছি সরকারি নিয়ম নীতি মেনে চলার। তাতে উনি রাজি নন। বিগত দিনে স্কুলের উন্নয়নে 20 লক্ষ টাকা এবং ল্যাবরেটরির জন্য 12 লক্ষ টাকা এলেও তার কাজ না করে টাকা তছরুপ করেছেন প্রধান শিক্ষক।
আগের সভাপতি চেক বুকে স্বাক্ষর করে রাখতেন। সেই সুবাদে সমস্ত টাকা প্রধান শিক্ষক তুলে নিয়েছেন। এমনকি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফি নিয়ে পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা না করে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং সেই টাকা অ্যাকাউন্টে না রেখে নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছেন। পড়াশোনাও ভালো ভাবে হচ্ছে না। ক্লাসে শিক্ষকরা না গেলেও কিছু বলেন না। শিক্ষকদের খুশি রাখার জন্য ইচ্ছেমতো তাদের ছুটি দেন।”
তিনি বলেন, “সমস্ত বিষয়টি শিক্ষাদপ্তর এবং বিডিও-কে জানানো হয়েছে।” পুরো বিষয়টা নিয়ে অভিযোগের তির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যদিও প্রধান শিক্ষক গৌতম ভৌমিক বলেন, “ওদেরকে টাকা মারতে দেয়নি। টাকা মারতে দিলেই উল্টো পোস্টার পড়বে প্রধান শিক্ষক ভালো লিখে। টাকা মারতে দেয়নি বলেই ওরা ক্ষেপে গিয়েছে। সেটা আমার কিছু করার নেই। আমি টাকা মারতে দেবো না।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Gurguripal High School
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore