ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে হাতির দলের উপস্থিতি ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ। পৌঁছে গিয়েছে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন খয়েরুল্লাচক এলাকায়। কড়া পাহারায় বনদপ্তরের কর্মীরা। বছর তিনেক আগে দলছুট দাঁতাল ঢুকে পড়েছিল খোদ মেদিনীপুর শহরে। তাকে বাগে আনতে ঘুম পাড়ানি গুলি পর্যন্ত ছুঁড়তে হয়েছিল বনকর্মীদের। তবে দলছুট দাঁতাল থাকায় সেদিন রক্ষা। কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।

কিন্তু দল হাতির প্রবেশ ঘটলে বড়সড়ো বিপদের আশঙ্কা থাকছে। বনদপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, ভাদুতলা রেঞ্জ এলাকা থেকে দশটি হাতির একটি দল রবিবার ভোরে মেদিনীপুর রেঞ্জের কুঁয়াবুড়ির জঙ্গলে প্রবেশ করে। সকাল থেকেই মুড়াকাটা, দেলুয়া, কুঁয়াবুড়ি, সিজুয়া, খয়েরুল্লাচক এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে বনদপ্তর। ওই জঙ্গলে মানুষজনকে প্রবেশ না করার বার্তাও দেয়। রবিবার বিকেলে হাতির দল পিচ রাস্তার পাশে কুঁয়াবুড়ি এলাকায় বেরিয়ে পড়ে। হাতি দেখতে ভিড় জমান কয়েকশো মানুষ। হাতির দল রাস্তা পেরোনের চেষ্টা করলেও বাধা পেয়ে ফের জঙ্গলে প্রবেশ করে। তবে দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য বনদপ্তরের কর্মীরা বিকেল থেকেই ওই এলাকায় টহল দেন। পৌঁছায় গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ।
পরে স্থানীয় মানুষজন আগুনের মশাল জ্বালিয়ে গভীর জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায় হাতির দলটিকে। যদিও সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ হাতির দলটি জঙ্গল পথ দিয়ে পৌঁছে যায় খয়েরুল্লাচক এলাকায়। আবার সেখান থেকে বনকর্মী এবং স্থানীয়রা মশাল জ্বালিয়ে জঙ্গলে ফেরত পাঠায়। গোপগড় বিটের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মলয় নন্দী জানিয়েছেন, “হাতির গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। গভীর জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষজনকে সতর্ক করা হয়েছে অন্ধকারে জঙ্গলের পথ যেন ব্যবহার না করেন।”