বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ৬ জুলাই থেকে নিখোঁজ থাকা যুবকের ঝুলন্ত দেহ গত বৃহস্পতিবার জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সনাক্তকরণের পর রবিবার দেহ পেলেন পরিবারের লোকজন। তারপরেই ‘খুন’ করা হয়েছে এমন দাবি করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। মৃতদেহ রাস্তায় রেখে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিও তোলেন। ঘটনাটি মেদিনীপুর সদরের নয়াগ্রাম এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার শালবনীর গাইঘাটা এলাকার জঙ্গলের গাছ থেকে এক অপরিচিত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পিড়াকাটা ফাঁড়ির পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তখনো পর্যন্ত জানা যায়নি মৃতের পরিচয়। শনিবার ওই যুবকের পোশাক দেখে সনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন। ওই যুবকের নাম সেক ছোটু (২২)। বাড়ি মেদিনীপুর সদরের গুড়গুড়িপাল থানার নয়াগ্রাম এলাকায়। পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করে গুড়গুড়িপাল থানায়। সেখান থেকে যান পিড়াকাটা পুলিশ ফাঁড়ি এবং পরে শালবনি থানাতে। রবিবার তাদের হাতে মৃতদহ তুলে দেয়। হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে এসে নয়াগ্রামে রাস্তার উপরে রেখে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, মৃতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা, প্রশ্ন বিতর্কে ক্ষমা চাইলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এভাবে প্রায় এক ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। পুলিশের কাছেও তারা দাবি করেন অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় অবরোধ তুলে নেন। রবিবার রাতেই গুড়গুড়িপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের মা টুনি বিবি। তিনি বলেন, “গত রবিবার (৬ জুলাই) একটা ফোন আসার পর সন্ধ্যা বেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।

আরও পড়ুন : মেদিনীপুরের তিন জন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নাম কর যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন?’ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রশ্ন ঘিরে বিতর্ক

তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। চারিদিকে খোঁজ খবর করা হয়েছে। পরে জানা গিয়েছে, একটি জঙ্গলে দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার জামাকাপড় দেখে বুঝতে পারি আমার ছেলে বলে।” তাঁর দাবি, “আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।” দোষীদের শাস্তি দাবিও করেছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা সেক সাত্তার বলেন, “ছেলেটি গরীব পরিবারের। এর আগে তার দাদা পথ দুর্ঘটনায় মারা যায়। অনেক কষ্টে দিনমজুর খেটে সংসার চালায়। বাড়িতে মা আর ছেলে থাকে। ছোটুর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরাও দাবি করছি ছেলেটিকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।” গুড়গুড়িপাল থানায় মৃতের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Murder Allegation
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspape