বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন :
রাজ্যের টাকায় শুরু হয়েছে বাংলার বাড়ি। অনেকেই সেই বাড়ি নির্মাণ করছে বনদপ্তরের জায়গায়। বাধা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বনকর্মীদের। কোথাও বাড়ির মালিকের, তো কোথাও রাজনৈতিক নেতাদের চোখ রাঙানির অভিযোগ। সরকারি জায়গা দখল নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন করে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে টাকা ঢুকতেই নিজের জায়গা ছেড়ে পাশে থাকা বন দপ্তরের জায়গায় বাড়ি নির্মাণের কার্যত হিড়িক পড়ে গিয়েছে জঙ্গলমহলে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here
2/5 মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিক শান্তনু কুলভি বলেন, “বনদপ্তরের জায়গায় বাড়ি তৈরির চেষ্টা হয়েছিল। সেখানে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই জায়গায় বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করা হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” অনেকে আবার পাট্টার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই জায়গায় বাড়ি তৈরির চেষ্টা করে। কিন্তু পাট্টা পাই নি বিভিন্ন কারণে। ফলে তারা কোনভাবেই বনদপ্তরের ওই জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করতে পারবে না। আবার অনেকে কৃষি কাজের হিসেবে পাট্টা পেয়েছিলেন বনদপ্তরের জায়গা। সেই জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করার চেষ্টা করছে। সেখানেও বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন আধিকারিকরা।

3/5 বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ব্লকের বিডিও এবং ভূমি দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে বনদপ্তরের বৈঠক হয়। পাট্টা না পাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে সরকারী প্রকল্পে পাওয়া বাড়ি নির্মাণ করতে। অনেকে আবার নিজের জায়গা থাকা সত্ত্বেও পাশে বনদপ্তরের জায়গায় বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করছে। যে কারণে প্রতিদিনই জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় কড়া নজরদারি রাখতে হচ্ছে বনকর্মীদের। জেলা জুড়ে বিভিন্ন রেঞ্জ এলাকায় বাধা দেওয়া হচ্ছে সেই বাড়ি তৈরীর ক্ষেত্রে। উপভোক্তাদের জানানো হয়েছে, জমির বৈধ কাগজ না দেখালে কোনভাবে বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না।
আরও পড়ুন : জেলাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে পরীক্ষা দিল দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
আরও পড়ুন : নকল সিও নিয়ে বালি পাচারে গুড়গুড়িপালে গ্রেপ্তার চার
বনদপ্তরের কড়া সতর্কবার্তা
4/5 মেদিনীপুর সদরের জামশোল, ডুমুরকোঠা, সারেঙ্গাশোল, ভ্রমরমারা, নয়াগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় বনদপ্তরের জায়গায় বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করেন উপভোক্তারা। সেই সব জায়গায় বাড়ি নির্মাণে বাধা দেওয়া হয়েছে। শালবনীর লালেরডিহি, রঞ্জা এলাকাতেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে ভাদুতলা রেঞ্জের খড়িকাশুলি এলাকায় বনদপ্তরের জায়গায় বাড়ি নির্মাণ না হলেও জঙ্গলের গাছ কেটে বাড়ি নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। চাঁদড়া রেঞ্জের আধিকারিক সৈকত বিশ্বাস বলেন, “আমরা প্রতিদিনই নজরদারি রাখছি। যেখানে জায়গা নিয়ে সমস্যা রয়েছে, তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বৈধ কাগজ না দেখালে বাড়ি নির্মাণ করতে দেওয়া যাবে না।”
5/5 হুমগড় রেঞ্জের আধিকারিক মলয় ঘোষ বলেন, “অনেকে বনদপ্তরের জায়গায় পাট্টার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তারা এখনো পাট্টা পাননি। ফলে যে জায়গা দেখিয়ে আবেদন করেছিলেন সেখানে পাট্টার কাগজ না দেখালে বাড়ি তৈরি করা যাবে না। অনেকে আবার চাষের জন্য পাট্টা পেয়েছেন। ফলে সেই জায়গাতেও বাড়ি নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। এই নিয়ে বিডিও এবং ভূমি দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Forest Land Encroachment
#ForestEncroachment #IllegalConstruction #BengalHousing #ForestLandIssue #GovtAction #LandDispute #SaveForests #BengalNews #LandEncroachment #LegalAction #Forest Land Encroachment
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper