Panchayat office
আরও পড়ুন ঃ–‘সিদ্ধান্ত বদল’ !বুধবার নয়, বৃহস্পতিবার থেকে খড়্গপুর ও মেদিনীপুর পুরসভা এলাকায় জারি বিধিনিষেধ
পত্রিকা প্রতিনিধি: গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনের মূল ফটকে পতপত করে উড়ছে তৃণমূলের পতাকা। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। যদিও এক তৃণমূল নেতার সাফাই, ‘ভোটে জেতার পর অতি উৎসাহ হয়ে বেঁধে দিয়েছে কেউ। খুলে নেওয়া হবে।’ বিজেপির (Bjp) অভিযোগ, ‘ঝান্ডা নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে পঞ্চায়েত সদস্যদের হেনস্তা করে। তারপর বেঁধে দিয়ে যায়।’ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর শাসক বিরোধী দ্বন্দ্ব অব্যাহত। বাড়ি ভাঙা, মারধর সহ নানা অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ থেকে বাদ যায় নি পশ্চিম মেদিনীপুর সদর (Medinipur Sadar) ব্লকের ধেড়ুয়া (Dherua) গ্রাম পঞ্চায়েতও।
এই পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রধান, উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্যদের অফিসে ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকি অফিসের ভেতরে ঢুকেও শাসানি দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপির অঞ্চল সভাপতি প্রানেস মাহাতর অভিযোগ, “আমাদের নির্বাচিত প্রধান, উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্য পঞ্চায়েত অফিসে গেলে ঢুকতে না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। বলে অফিসের ১০০ মিটারের মধ্যে বিজেপির কেউ যেন না আসে।”
গত পঞ্চায়েতে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ধেড়ুয়া (Dherua) গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ব্যাপক জয়ের পর পঞ্চায়েতের ক্ষমতা ফিরে পেতে মরিয়া। সদ্য প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিজেপি প্রধান। তৃণমূল অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। কবে হবে অনাস্থার ভোটাভুটি তারও ঠিক নেই। দু’মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পঞ্চায়েত অফিসে দেখা নেই উপপ্রধানের। প্রধান, উপপ্রধান না থাকায় ঠিক মতো পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ সাধারণ মানুষদের। বিজেপি নেতা সুজয় দাসের অভিযোগ, ‘ঘটনার কথা বিডিওকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আজও পর্যন্ত পঞ্চায়েত অফিসে বিজেপির কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না তৃণমূল।’ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অজয় সিংহ বলেন, ‘বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর লজ্জায় পঞ্চায়েত অফিসে আসেনি। কেউ বলতে পারবে না তৃণমূল মারধর করেছে।’
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Panchayat office
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore