পত্রিকা প্রতিনিধিঃ দাবি কৃত পণের টাকা না পাওয়ায় গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরিতে বিধানসভা এলাকায়। তবে মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হল মৃতার স্বামী দীপক রায়। মৃতার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে পটাশপুরে বাসিন্দা নমিতা সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় খেজুরির বাড়কষারিয়া গ্রামের দীপক রায়। এরপর থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায় আশান্তি হতো স্বামীর। আর এই নিয়ে বেশ কয়েকবার গ্রাম্য সালিশি সভা বসে।বাপের বাড়ি থেকে অতিরিক্ত পণের টাকা দাবিতে প্রায় মারধর করতো স্বামী। আর সেই কাজে পুরো সহযোগিতা করতো তার পরিবারের সদস্যরা বলে মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ। এরপর গত ফেব্রুয়ারী মাসে শ্বশুরবাড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় নমিতা রায় (৪২) ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপর তালপার্টি উপকূল থানার পুলিশ গিয়ে বাড়ি থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। মৃতার বাপের বাড়ি সদস্যরা মেয়ের মৃত্যু কোন মতেই স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে পারেননি। গত ১৫ ই ফেব্রুয়ারি তালপাটি উপকূল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যরা। এরপর অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন নাকচ করে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
তালপটি উপকূল থানার পুলিশ আধিকারিক বলেন, ” অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ অনেকটাই পরিষ্কার হবে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাকি অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।”