Mamud Hossain joined the TMC
আরও পড়ুন ঃ-দাঁতনে শুভেন্দুকে ‘গদ্দার’ বলে তীব্র আক্রমণ তৃণমূল নেতৃত্বের
পত্রিকা প্রতিনিধি: একুশে বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক পারদ চড়ছে শাসক ও বিরোধী দু’ই শিবিরে। রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।আর এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুরে অমিত শাহের হাত ধরে গতকাল বিজেপিতে যোগদান করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তাই শুভেন্দু অধিকারী এখন দলের প্রাক্তন। তাই ‘দক্ষ সংগঠক’কে হারিয়ে কি আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল ? একেবারে গ্রাসরুট লেভেল থেকে সংগঠনকে তৈরি করতে মরিয়া তৃণমূল ? রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে গুঞ্জন। আর এই পরিস্থিতিতে রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন তৃণমূলে যোগ দিলেন। মামুদ ছাড়াও রবিবার তৃণমূল ভবনে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সৌমেন মহাপাত্রর হাত ধরে দলে ফিরলেন একঝাঁক তৃণমূল নেতা।
উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের কট্টর বিরোধী বলে পরিচিত মামুদ হোসেন সিপিএম থেকে তৃণমূলে ফিরলেন। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে সামিল ছিলেন পেশা স্কুল শিক্ষক মামুদ হোসেন। ২০০৮-১৩ সাল তৃণমূল পরিচালিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি ছিলেন। ২০১৩-১৬ সাল জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ।২০১৬ সালে তৃণমূলে বিদ্রোহী হয়ে বামফ্রন্টের শরিক ডিএসপির টিকিটে এগরা থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন। এরপর যোগ দেন সিপিএমে। কিন্তু, গতকাল মেদিনীপুরের জনসভায় অমিত শাহের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা শুভেন্দু অধিকারীর হাতে উঠতেই একে একে শুভেন্দু বিরোধিরা তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন।
সেই তালিকায় প্রথম সংযোজন মামুদ। তৃণমূলে ফিরে মামুদ হোসেন বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী একা বিজেপিতে গিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদ, একজন পুরসভার চেয়ারম্যান তলে তলে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। তাঁরা একই পরিবারের মানুষ, শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে বিবেচনা করবেন।তাঁর ছোট ভাই যিনি এখনও পুরসভার চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন, তিনি প্রকাশ্যেই বিজেপির হয়ে মিটিং মিছিল করেছেন, ওকালতি করছেন। কৌশলগত কারণেই তাঁরা দলত্যাগ করছেন না। দুজন সাংসদ, দলত্যাগী আইনে পড়ে যাবেন বলেই তৃণমূলে আছেন। ওরা কেউ এখন আর তৃণমূলে নেই।”
অধিকারী পরিবারের সঙ্গে বিরোধিতার জেরেই মামুদ হোসেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন বলে দাবি করেছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক বিধানসভা আসন থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায়। এদিন নিজের আসন বদলের জন্য নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করেন সৌমেন মহাপাত্র।অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যরাও কি গোপনে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের সংগঠনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। যদিও, আমি পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ। কিন্তু ২০১৬ সালে কারও কারও আঙ্গুলিহেলনে আমাকে আমার আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মামুদ হোসেন যা বলেছেন, তা অবশ্যই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ক্ষতিয়ে বিবেচনা করবেন।”
এবিষয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন , চালাকির দ্বারা কোনো মহৎ কাজ হয়না। এখন ম্যাজিশিয়ান দেখাচ্ছে ম্যাজিক। তাছাড়া সাধারণ মানুষ তৃণমূলের ম্যাজিক ধরে ফেলেছে অর্থাৎ এই ম্যাজিক আর না দেখালে ভালো। মোদিজীর নেতৃত্বে দেশ ডিজিটাল ইন্ডিয়া এগিয়ে চলেছে। এই রকম ভন্ডামি বাঙালায় আর চলবে না। তাই তৃণমূলের বিদায় সম্পন্ন হবে এই একুশে।শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষায় ।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Mamud Hossain joined the TMC
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore