Shuvendur joined the BJP
আরও পড়ুন ঃ-মেদিনীপুরে অমিত শাহের সঙ্গে একই কপ্টারে আসবেন শুভেন্দু, শনিবারেই যোগদান বিজেপিতে
আরও পড়ুন ঃ-ভাঙন এবার সিপিএমেও, দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী, জেলা সম্পাদক বললেন ‘বিশ্বাসঘাতক’
পত্রিকা প্রতিনিধি: দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটল মেদিনীপুরে। আর সেই মেদিনীপুরে শাহের মঞ্চে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে।দীর্ঘ ২১ বছর তৃণমূল দলের সুখ-দুঃখের সঙ্গী থাকার পর আজ থেকে তিনি বিজেপির নেতা, বিজেপির মুখ।এ দিন মঞ্চে শুভেন্দুর আসন ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পাশেই। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে, পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেন সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী।এরপর শুভেন্দু অধিকারীর হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন শাহ ।আর এরপরঅমিত শাহকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর শুভেন্দুর হাত ধরে ৯ বিধায়ক এবং ১ জন সাংসদ আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন।
এ দিন তৃণমূল স্তরের কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি ছয় পাতার চিঠি লেখেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে উঠে আসে তাঁর অভিমানের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ। তিনি মনে করেন তৃণমূলে পচন ধরেছে। দলের প্রতিষ্ঠাতা কর্মীরাই অপমানিত। ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছে দল। মানুষের সঙ্গে বেইমানি করতে চান না বলেই দল পাল্টাচ্ছেন তিনি। নাম না করে প্ৰশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।তবে রাজনৈতিক মহলের মত, এই খোলাচিঠি একদিকে ‘ওপেন কল’, নতুন করে জনসাধারণের মধ্যে অনুগামী তৈরি করার চেষ্টা। অন্য দিকে, সমস্ত ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও গেরুয়া শিবিরে কেন যাচ্ছেন তিনি, এই যে প্রশ্ন নানামহলে উঠছে, তার কৈফয়তও এই চিঠি। তৃণমূল কর্মীদেরও খোলা আহ্বান জানাচ্ছেন, তাঁর ছাতার তলায় আসার।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু অধিকরী। তার আগে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন ২৭ নভেম্বর। শুভেন্দু তৃণমূলে থাকবেন না যাবেন এই নিয়ে রহস্য খুলেছে পরতে। ডিসেম্বরের প্রথম দিন শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে হাজির ছিলেন সৌগত রায়, ভোটকুশলী প্রশান্তকিশোর, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় নিজে সাংবাদিকদের ডেকে জানান, বৈঠক অত্যন্ত ইতিবাচক। সব পক্ষ একটা সাধারণ জায়গায় এসেছে, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। আপাতত সব সমস্যা মিটে গিয়েছে। তৃণমূলেই থাকছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তাল কাটে ঠিক একদিন পরেই। শুভেন্দু বলেন, যৌথ প্রেস কনফারেন্সের শর্ত মানেননি দল। তাই আর একসঙ্গে পথ চলা সম্ভব নয়। হাসি চওড়া হয় বিরোধীদের, রাতারাতি শাসক দলের তুমুল আত্মবিশ্বাসী ছবিটা টাল খেয়ে যায়, আর হাসি চওড়া হয় বিজেপির। তারপর থেকে রাজ্যবাসী দিন গুণেছে। আজ এই খবরে সেই একাঙ্ক নাটকের পরিসমাপ্তি।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Shuvendur joined the BJP
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore