Dilip’s comment
Dilip’s comment
আরও পড়ুন ঃ-সিবিআইয়ের ডাইরেক্টর -কে চিঠি শুভেন্দুর
পত্রিকা প্রতিনিধি: মমতার নাম না করে তাকে সুভদ্রা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি সরকার গড়লে তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের শাস্তির কথা বলতে গিয়ে বেলাম হন রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ। শুক্রবার নারায়ণগড় ও দাঁতনে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন। নারায়ণগড়ের বাঁশচাটি এলাকায় গৃহ সম্পর্ক অভিযানে যান দিলীপ। কয়েকদিন আগে ওই এলাকায় তৃণমূলের হামলায় ভাঙচুর করা হয়েছিল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বেশ কয়েকটি বাড়ি। এমনই অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এদিন তাদের বাড়িতে দেখা করতে যান। পরে দাঁতন ২ ব্লকের সাউরিতে বস্ত্রদান ও নরসিংহপুরে সাংসদ তহবিল থেকে নির্মিত সোলার বাতি স্তম্ভের উদ্বোধন করেন। দাঁতনের হরিপুরের দুগ্ধপণ্ডা ময়দানে সভা করেন দিলীপ। সেখানেই বেলাগাম হয়েছিলেন। তৃণমূল নেতা, কর্মী, তৃণমূল নেত্রী ও পুলিশকে একসঙ্গে আক্রমণ করেন। আগামী মে মাস এলেই তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্তদের সবাইকে জগন্নাথ দর্শনের জন্য ওড়িশা পাঠানো হবে বলে মন্তব্য করেন। আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও।ওড়িশাতে জেলে থাকার কথা উল্লেখ করে সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, তাপস পালকে জগন্নাথ, বলরাম বলে সম্বোধন করার পর দিলীপ বলেন,” মে মাস এলে শুধু জগন্নাথ, বলরাম নয় সুভদ্রাও যাবেন। সবাই পুরী দর্শন করতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কেউ বাকি থাকবেন না।”
এখানেই থামেননি দিলীপ। বক্তৃতা যত দীর্ঘ হয়েছে ততই আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। তিনি তৃণমূল দলকে টাকা পয়সা লুঠ করা, খুন খারাবির সার্কাস বলে উল্লেখ করেন। সার্কাস বন্ধ করার জন্য তারা গ্রামে গঞ্জে ঘুরছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা এ রাজ্যে আসছেন। নাড্ডাকে আটকানো ও হামলার প্রতিবাদ জানান। নিন্দা করেন ঘটনার। দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তার বক্তব্য,”কোনও লোক যদি বাংলার বাইরে থেকে আসে তাকে আতিথেয়তা দেখায় লোকে। রাস্তা আটকে দেবে তুমি ?” এর পরেই তিনি বলেন,” তোমরা কী বাংলার বাইরে যাবে না কোনও দিন ! যদি যাও তবে কী বাংলায় ফেরার ইচ্ছে নেই ? ছবি ফিরে আসবে ? হোয়াটসঅ্যাপে হয়ে ? সেটা চাও। উনারা (তৃণমূল) এখানে ঢিল মারছেন, পাটকেল মারছেন। ভয় দেখাচ্ছেন। আমরা তুড়ি মেরে গায়েব করতে পারি।”
তৃণমূলের পক্ষ থেকে গাড়ি আটকানো প্রসঙ্গে আরও তিনি বলেন,” আগামী ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর অমিত শাহ আসবেন। হিম্মত থাকলে আটকে দেখ। দিলীপ ঘোষ সারা বাংলায় ঘুরছে গাড়ি নিয়ে। পারলে আমার গাড়ির সামনে একবার এসো যদি তোমার পাড়ায় না শহিদ বেদি না বানিয়ে দিয়েছি তবে দিলীপ ঘোষের নাম বলবে না। বুকের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেব আমি। সে যেই হোক, যতবড় নেতাই হোক।” পুলিশকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি। পুলিশকে নির্বিষ ‘ঢোঁড়া সাপ’ ও তৃণমূলকে ‘কুকুর’ বলে আখ্যা দিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা বলেন রাজ্য সভাপতি। উত্তর প্রদেশ ও বিহারের পুলিশের উদাহরণ তুলে ধরেন। তার বক্তব্য,” কোনও খাঁকি পুলিশকে বুথের কাছে আসতে দেব না।কেউ আসতে পারবে না। তারা ডিউটি করবেন দিদিমনির কাজ করেন। গেটের বাইরে নয় একশো গজ দূরে থাকবে পুলিশ।”
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আক্রমণ করার পর তার নিশানা থেকে বাদ যাননি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও। নাড্ডাকে আক্রমণ নিয়ে মমতা ও অভিষেকের দুইধরনের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন দিলীপ,” ওরা উল্টোপাল্টা বকছে। মানুষের যদি ক্ষমতা চলে যায় তখন মাথার ঠিক থাকে না।” শুধু দিলীপ নন, আক্রমণ করেন জেলা সভাপতি শমিত দাসও। তিনি বলেন,” ২০২১ সালে দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসছেন। সাতদিনের মধ্যে সব হিসেব বুঝে নেওয়া হবে।”তৃণমূল, পুলিশকে আক্রমণ করে তার বক্তব্য,” নির্বাচনের পর দিদির পুলিশ থাকবে না। পুলিশ থাকবে, উর্দি থাকবে, দিদি থাকবে না। দাদার কথায় তারা চলবে।” হরিপুরে সভার পর মোহনপুরের সিয়ালসাইতে সভায় যোগ দেন রাজ্য সভাপতি। তবে দিলীপের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি। তিনি বলেন,” আসলে রাস্তার গুণ্ডাকে যদি কেউ ধরে এনে যদি কোনও রাজনৈতিক দলের সভাপতি করে দেয় তাহলে সেই দলের সংস্কৃতি রাস্তাতে নেমে যায়। দিলীপ ঘোষ তার উজ্জ্বল প্রমাণ। আমরা তার মতো নিচে নামতে পারব না। আমরা প্রস্তুত হচ্ছি সমস্ত অসম্মানের জবাব দেব বিধানসভায় জিতে।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Dilip’s comment
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore