৩৩তম বর্ষ, ৩৪ সংখ্যা, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০ ভাদ্র ১৪২৭
আবারও কেন্দ্রীয় শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধী জোট নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো লঙ্ঘন, জিএসটি-র প্রাপ্য না পাওয়া, সংসদের বাদল অধিবেশনের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া, বিশেষত জিরো আওয়ারের সময় কমানো, প্রশ্নোত্তর পর্ব রদ প্রভৃতি বিষয়কে গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ আখ্যা দিয়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা, শিবসেনা প্রভৃতি দলগুলি। কয়েকদিন আগেই এক ভার্চুয়াল সভায় এইসব বিরোধী দলগুলি বিশেষত নিট ও জয়েন্ট পরীক্ষার দিন বদলের দাবি সহ রাজ্যগুলির প্রাপ্য জি এস টি-র টাকা মেটানোর দাবিতে সোচ্চার হন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা ছাড়াও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন। সবার কণ্ঠেই ছিল মোদী সরকার বিরোধ ঝাঁঝ। সনিয়া মমতার পরামর্শ মতো সবাই এসব ইস্যু, ছাড়াও আরও অন্যান্য ইস্যুতে আগামী দিনে দিল্লিতে একসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেদিন থেকেই তাই এমন জল্পনা ভেসে উঠেছে তবে কী গত লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০/২২টি বিরোধী দলের যে জোট নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল এবং ভোটের পূর্ব মুহূর্তে এবং বিজেপির বিপুল জয়ের পর সব জোট পরিকল্পনার সলইল সমাধি ঘটে গিয়েছিল, তাকে আবার সংগঠিত করার রাস্তায় হাঁটতে চলেছেন সনিয়া-মমতা ? লোকসভার আসন্ন বাদল অধিবেশনের সংক্ষিপ্ত সময়সীমা ও কার্যবিবরনী নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমুল সহ অন্যান্য অবিজেপি দল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় বিরোধী জোটের সম্ভাবনা নিয়ে দিল্লিতে এখন জোর গুঞ্জন। আবার এই চর্চাও শুরু হয়েছে যে, যেভাবে সনিয়া-মমতা কাছাকাছি এসেছেন, তবে কী এর কোন রেশ পড়বে পশ্চিমবঙ্গেও ? বিশেষত সামনেই যেখানে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধিবেশন। যাই হোক, বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী জোট নতুন করে গড়ে উঠবে কিনা তা সামনের দিনেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। তবে এটা ঠিক সনিয়া-মমতা ঐক্যবদ্ধ জোট গঠনের চেষ্টা তখনই ফলপ্রসূ হবে, যখন সেই জোটে আরও বিভিন্ন দল যেমন সিপিএম, সমাজবাদি পার্টি, বি এস পি, আপ, বিজেডি, জেডি(ইউ), ন্যাশ্নাল কনফারেন্স, শিবসেনা, জে এম এম, তেলেগু দেশম প্রভৃতি দল তাতে সামিল হবে। কিন্তু এতবড় প্রত্যাশা পূরব করতে কী সমর্থ হবেন সনিয়া-মমতা ? দেখাই যাক। চোখ থাকুক আসন্ন দিনগুলির দিকে।