পত্রিকা প্রতিনিধি: জেলা স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী মেদিনীপুর শহরে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। প্রথম আক্রান্তকারী হলেন মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটির বাসিন্দা (২৯)। ওই যুবক শহরের কোতোয়ালীর অধীনে সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজে নিযুক্ত। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই তিনি উপসর্গহীন। পরিবার সূত্রের খবর, সারা লকডাউন জুড়ে শহরের কন্টেইনমেন্ট ও বাফার জোনে ডিউটি করেছেন ওই যুবক। লকডাউনে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে এসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান স্বাস্থ্য দফতরের।
দ্বিতীয় আক্রান্তকারী হলেন শহরের তাঁতিগেড়িয়া সংলগ্ন কবরডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। জানা যায় তিনি পেশায় গাড়ীর চালক। বিশেষ সূত্রের খবর সম্প্রতি কবরডাঙ্গা এলাকার ওই ব্যক্তির বন্ধুর বাবা শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান। মৃত্যুর পরে ওই বৃদ্ধের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে এসে ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান স্বাস্থ্য দফতরের। তৃতীয় আক্রান্তকারী শহরের আবাস সংলগ্ন এলাকায় বাড়ী ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তিনি বাঁকুড়া জেলার জয়রামবাটির বাসিন্দা (২৫)। পড়াশুনার সূত্রে ওই যুবক শহরের থাকতেন। ওই যুবক বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য স্বইচ্ছায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সোয়াব টেস্টের জন্য নিজের লালারসের নমুনা দিয়ে এসেছিলেন গত সোমবার। মঙ্গলবার রাতেই ওই যুবকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যদিও তিনি উপসর্গহীন। চতুর্থ আক্রান্তকারী হলেন শহরের মিরবাজারের বাসিন্দা। জানা যায় তিনি মেদিনীপুর প্যারামেডিক্যাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ এর ফিজিওথেরাপি বিভাগের অধ্যাপক। যেহেতু তিনি প্যারামেডিক্যালের অ্যাডমিশন বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন সেহেতু বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীর সংস্পর্শে আসেন , এবং সেখান থেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে স্বাস্থ্য দফতর।পঞ্চম আক্রান্তকারী হলেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক নার্সিং স্টাফ (৩৭)। জানা যায় সমপ্রতি তিনি হাসপাতালে এক করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসেন ।সেই জন্য গত সোমবার ওই মহিলার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠালে মঙ্গলবার রাতেই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে তিনি উপসর্গহীন হওয়ায় নিজ বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
অপরদিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের একসঙ্গে ৩ জন ইন্টার্ন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। এদের মধ্যে রয়েছেন দুই মহিলা (২৩ ও ২২) ও এক জন পুরুষ (২২)। ওই দুই মহিলার মধ্যে একজন সোনারপুরের (ইর্মাজেন্সি বিভাগ) ও অপরজন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বাসিন্দা। অন্য এক ইন্টার্ন হুগলির বাসিন্দা।তিনি হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক বিভাগে থাকতেন বলে জানা যায়।এরা প্রত্যেকেই উপসর্গহীন।হাসপাতাল কতৃপক্ষ সূত্রে জানা যায় তাঁরা প্রত্যেকেই সম্প্রতি হাসপাতালের এক করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসায় গত সোমবারই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠালে মঙ্গলবার রাতেই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।এছাড়াও মেদিনীপুর শহরের সিপাইবাজার চক এলাকায় এক যুবতীর (২৮) করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে তিনি কিভাবে সংক্রমিত হয়েছেন বা কি পেশার সাথে যুক্ত তা জানা যায়নি।