পত্রিকা প্রতিনিধি : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য ভবনের রবিবার (২ আগস্ট) রাতের রিপোর্ট অনুযায়ী, মেদিনীপুর শহরের সিপাই বাজারের এক যুবক (২৫) করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন বা ট্রেনি চিকিৎসক (মেডিক্যাল কলেজ থেকেই সদ্য এমবিবিএস পাস করেছেন)। ইতিপূর্বে, মেডিক্যাল কলেজের একজন চিকিৎসক (স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ) এবং তিনজন জুনিয়র চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে, গত ১ লা আগস্ট যে দু’জন জুনিয়র চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁরা থাকতেন, বটতলাচকেই, কলেজের উল্টোদিকে ওল্ড বয়েজ হোস্টেলে। যদিও, ওই দু’জন ইতিমধ্যে শালবনী করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল আক্রান্ত হওয়া, সিপাইবাজারের বাসিন্দা তথা ট্রেনি চিকিৎসক (ইন্টার্ন) কেও পাঠানো হয়েছে আয়ুশ করোনা হাসপাতালে। তা সত্বেও, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে, কোতোয়ালী থানার পক্ষ থেকে বটতলাচকের বিস্তীর্ণ এলাকা আজ (৩ আগস্ট) দুপুরের পর কনটেইনমেন্ট করে দেওয়া হল।
এ নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়ালেও, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, আতঙ্কের কিছু নেই, সতর্ক ও সচেতন থাকাই বাঞ্ছনীয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডু জানিয়েছেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, সতর্কতামূলক সমস্ত ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে। তবে, চিকিৎসা করতে গিয়ে, হয়তো কোনো কোনো চিকিৎসকের করোনা ধরা পড়ছে, এতে কিছু করারও নেই। চিকিৎসা পরিষেবা তো বজায় রাখতে হবে। তবে, সকলের যে, উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তা নয়, উপসর্গহীন আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। টেস্ট চলবে, সেইমতো ব্যবস্থাও নেওয়া হবে, আতঙ্কের কিছু নেই। ধাপে ধাপে পরিস্থিতি ঠিক হবে।”