পত্রিকা প্রতিনিধি: করোনা নিয়ে ভয় ছিল গোড়া থেকেই। তা সত্যি করে পরিযায়ীদের ঘরে ফেরার সূত্রে। জেলায়-জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ঊর্ধ্বমুখী। পরিযায়ীরা নিজেরা যেমন আক্রান্ত হচ্ছেন, তেমনই তাঁদের সংস্পর্শে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। পরিযায়ীদের ভিড় সামলে কোয়রান্টিনের ব্যবস্থা করা, তাঁদের সকলের করোনা পরীক্ষার আয়োজন করতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।এই আতঙ্ক কাটাতে রাজ্যে নতুন করে কোয়ারেন্টাইন সেন্টাল গুলিতে কড়া লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসন মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।মাস্ক বিহীন বাহিরে বের হলে পুলিশ তাদের জরিমানা করতে পারে বলে জানিয়ে দিলেন। তা সত্ত্বেও মাক্স বিহীন শিল্পশহর হলদিয়া ঘুরতে দেখা যায় বহু মানুষকে সচেতন হয়নি এখনো। দিন দিন বাড়ছে পজেটিভ সংখ্যা তা সত্ত্বেও বাজারে রাস্তাঘাটে মাস্ক বিহীন মানুষ দেখা যায় ।
এমতাবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া পৌরসভার হলদিয়া থানার অন্তর্গত টাউনশিপ আইওসি স্টেডিয়ামের কাছ থেকে একজন ও হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান বর্তমান কাউন্সিলর হলদিয়া কোর্টের আইনজীবী করোণায় আক্রান্ত। হাসপাতলে স্বাস্থ্য কর্মীরা ৯ জুলাই তাদের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়।হলদিয়া পুরসভার ২০নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও আইনজীবী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে এই রিপোর্ট আসে। করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় বৃহস্পতিবার তাঁর লালারস সংগ্রহ করা হয় মহকুমা হাসপাতালে, করোনা ধরা পড়ায় পুরসভার অন্যান্য কাউন্সিলার ও মহকুমা আদালতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। হলদিয়া মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিশানের সম্পাদক বিমলকুমার মাজি বলেন, গত ১০দিনে আদালতে যে সমস্ত আইনজীবী এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের করোনা টেস্ট করা হবে। জরুরি মামলা ছাড়া আদালত সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হলদিয়া স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।