ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সমস্ত ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা না দিয়ে স্থানীয় বেসরকারি নার্সিং হোমে পাঠানোর চক্রান্ত।তাও এমন এক নার্সিং হোম যার পরিকাঠামো হাসপাতালের তুলনায় অতি নিম্ন মানের। তবু ওখানেই যেতে হবে কারন এখানের অনেক ডাক্তার ঐ নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত, এবং এর মালিক তৃনমূলের কউন্সিলারের ছেলে।যদিও মালিক ভারতী ঘোষের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত। দীর্ঘ দিন ধরেই হাসপাতালের একাংশ এই অসাধু চক্রে জড়িত। আর মোটা টাকার বিনিময়ে জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তারা এই চক্রে যুক্ত বলে অভিযোগ। সেকারনেই অবহেলায় শিশু মৃত্যুর একের পর এক ঘটনা চলছে হাসপাতালে উদাসিন কতৃপক্ষ। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে গেলে ক্যামেরায় ধরা পরে হাসপাতাল থেকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা। রোগীর আত্মীয় জানান, গতকাল থেকে ভর্তী করা হলেও কেউ দেখেননি ও অবহেলায় ফেলে রাখা হয় রোগীকে। তাই বাধ্য হয়ে নার্সিং হোমে নিয়ে যেতে হয় রোগীকে।একই রকমভাবে মৃত শিশুর পরিবার হাসপাতালের সুপার এবং সংশ্লিষ্ট ক র্তব্যরত ডাক্তার এর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ জানাতে গিয়ে পরিবারের লোক জানতে পারে সিএমওএইচ অফিসে নেই দীর্ঘ দিন, তিনি কোলকাতায় বাড়িতে গেছেন। এর আগেও শিশু, বাচ্চা, মারা যাওয়ার দিনেও তিনি অফিসে ছিলেন না।এর পরেই হাসপাতাল থেকে হুমকি দেওয়া হয় বাচ্চার দেহ না নিলে নালায় ফেলে দেওয়া হবে।
এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রোগীর আত্মীয় রা। মৃত শিশুর বাবা প্রাণকৃষ্ণ আহির সমস্ত বিষয় জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।তিনি অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেন। সমস্ত বিষয় লিখিত ভাবে থানায় জানান প্রাণকৃষ্ণ বাবু।গত তিন তারিখ ঝাড়গ্রামের পাথরা গ্রামের বাসিন্দা পুজা আহির কে সন্তান সম্ভবা অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তী করা হয়। এর পর রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ার দরুন বারাবার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। শেষে রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় জোর করে কাগজে সই করে ওটি তে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর কন্যাসন্তান জন্মালেও তা মারা যায়। এর পরেই সুপার ও সিএমওএইচ কে অভিযোগ জানাতে গেলেও অফিসে কেউ না থাকায় অভিযোগ জানাতে পারেন নি। ঝাড়গ্রাম পুলিশ বিষয় টি তদন্ত শুরু করেছে।