পত্রিকা প্রতিনিধি : তিনদিনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সফরে এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের জয়ী বিজেপি সাংসদ দিলিপ ঘোষ।প্রথমদিনের গড়বেতা এলাকায় “গৃহ সম্পর্ক অভিযান” করার পর শুক্রবার খড়্গপুরের বিভিন্ন এলাকায় দ্বিতীয়দিনের কর্মসুচী করেন দিলিপ ঘোষ।সকালে খড়্গপুরে প্রাতভ্রমনে বেরিয়ে করোনা সংক্রমন নিয়ে তৃনমুল কে বিঁধলেন রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষ।দিন কয়েক আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন খড়্গপুর পৌরসভার সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যানের।তারপরই করোনা উপসর্গ দেখা দেয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারেরও।তাই করনা সংক্রমণ নিয়ে দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে বিঁধেছেন।কটাক্ষ করে বলেছেন-“খড়গপুর এখন করেণার হাব হয়ে গেছে এখানে তৃণমূলের নেতারা এটা ছড়িয়েছে । নিজামুদ্দিন থেকে এসেছিলেন কয়েকজন মৌলভী তাদের নিয়েই এই ভাইস-চেয়ারম্যান বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছেন বাড়িতে বাড়িতে করোনা ছড়িয়ে দিয়েছেন।”
পাশাপাশি পুলিশ কেও আক্রমন করতে ছাড়েন নি দিলিপ।তিনি বলেন-“এই তৃণমূলের নেতারা শুধু তৃণমূলের নেতা নয় পুলিশরাও পুলিশের লোকেরা তাদের সঙ্গে খেয়েছেন বসে মিটিং করেছেন খোদ খড়্গপুরের চেয়ারম্যান গলি গলি মহল্লায় গিয়ে মিটিং করেছেন।তাই এরাই করেণাও ছড়িয়েছেন।
জনগনের উদ্দেশ্যে বলেন-“তাই বলছি তৃণমূলের সমস্ত নেতাদের বয়কট করুন । তারাই কিন্তু করোনা ছড়াচ্ছে।”
শুক্রবার সকালে খড়্গপুরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে নরেন্দ্র মোদীর চিঠি বাড়ি বাড়ি পৌঁছাতে গিয়ে কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভার সাংসদ দিলীপ ঘোষের।
দিলিপ ঘোষের কটাক্ষ তেই থেমে থাকেনি রাজনীতি।দিলীপ ঘোষের পাল্টা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন-“উনি এসছেন নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে। করোনা সময় কলকাতায় পায়ে পা তুলে বসে ছিলেন। সেই সময়ে সময় তাকে দেখা যায়নি, সেই জন্য এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। আর সেই পাপের প্রায়শ্চিত্য করার জন্য খড়্গপুরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
দিলীপ ঘোষের কটাক্ষের পাল্টা সুর চড়িয়েছে অজিত।তিনি বলেন-” উনি বলছেন তৃণমূলকে বয়কট করুন তৃণমূল করোনা ছড়িয়েছে। আসল হলো গোটা দেশে করোনা ছড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি বিজেপির দল । দম থাকলে নিজের সিকিউরিটি প্রত্যাহার করুন।”
বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সফরের প্রথম দিনেই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উত্তাল ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের গরবেতা।সেই প্রসঙ্গেও কটাক্ষ করে অজিত বলেন-“গড়বেতা তে তাকেই মারার জন্য মানুষ জড়ো হয়েছিল তার বিরুদ্ধে মানুষের খুব জমেছে ছিল কিন্তু এত সিকিউরিটি থাকার জন্য কর্মীরা তাকে না পেয়ে নিজেরাই হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন।
কটাক্ষ এবং পাল্টা কটাক্ষে নজরে তৃণমূল-বিজেপি।রাজ্য রাজনীতি কোন দিকে এগোয় তা সময়ই বলবে।