Home » About Us

About Us

History of Biplabi Sabyasachi

A Humble Beginning with a Bold Vision

In 1988, we embarked on a journey from the historic city of Medinipur, fueled by a bold vision. Our aim was to provide our readers with a trustworthy companion, offering insightful news coverage that resonates with the pulse of the region. With Medinipur’s rich history as our backdrop, we pledged to be the voice of the people, advocating for their progress and well-being.

Upholding Truth and Integrity

Throughout our journey, we have upheld the values of truth, integrity, and accurate reporting. In a media landscape where giants like Anandabazar Patrika and Bartaman dominate, Biplabi Sabyasachi found its niche by adhering to our core principles. We have consistently strived to present news objectively, empowering our readers to form their opinions based on accurate information.

A Tapestry of Regional Culture and Concerns

Our pages have woven a tapestry of West Bengal’s vibrant culture, history, and contemporary issues. We take pride in our ability to reflect the diverse perspectives and concerns of our readership, effectively capturing the essence of our region. By shedding light on local matters and offering insightful commentary, we have become a trusted source of information and analysis.

Facing Challenges, Embracing Triumphs

Acknowledging the dominance of Anandabazar Patrika in readership and circulation, we stand undeterred by the challenges. Biplabi Sabyasachi may not boast the same circulation figures, yet our commitment to our readers remains unwavering. We have navigated through turbulent tides, emerging stronger and more determined to serve our loyal readership.

Championing Independent Journalism

Our legacy is one of independent journalism that resonates with the hearts of our readers. We take pride in our objective reporting, presenting an array of viewpoints that contribute to our credibility. While we may not match the circulation of larger counterparts, the trust we have earned from our readers is immeasurable.

As a reflection of West Bengal’s dynamic cultural mosaic, Biplabi Sabyasachi continues to stand as a steadfast source of information and enlightenment. Our journey, from our modest beginnings in Medinipur to our role as a respected voice in regional media, is a tribute to the enduring power of journalism to inspire change and progress.

মেদিনীপুর নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বহু সংগ্রামমুখর ইতিহাস। স্বাধীনতার লক্ষ্যে কত শত দেশপ্রেমিকের আত্মত্যাগ, আন্দোলন, শহিদ হওয়ার অজস্র বীরগাথা এই মেদিনীপুরকে দিয়েই। স্বাধীনতার পরেও মেদিনীপুরকে ঘিরে দেশ-বিদেশের মানুষের কুর্নিশ নেমে আসে আজও। স্বাধীনতা বিপ্লবের পীঠকেন্দ্র মেদিনীপুরের সংগ্রামমুখর এই ইতিহাসকে সামনে রেখেই ১৯৮৮ সালের ৪ আগষ্ট বিপ্লবী সব্যসাচী তাঁর সংগ্রামী যাত্রা শুরু করেছিল। তখন অখণ্ড মেদিনীপুর। লক্ষ্য ছিল জেলার সমস্ত স্তরের মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে ওঠা। জেলার ইতিহাস, উন্নয়ন, কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে তুলে ধরার পাশাপাশি তার অসংলগ্নতা সঠিকভাবে পত্রিকায় মুদ্রিত করা। সংবাদপত্র যেহেতু সমাজ তথা রাষ্ট্রের চোখ-কান-নাক-বিবেক, তাই মেদিনীপুর তো বটেই সেই সঙ্গে গোটা দক্ষিণবঙ্গের মানুষ ও তার সামাজিক, সাংস্কৃতিক পারিপার্শ্বিকতার বস্তুনিষ্ঠ চিত্র বিপ্লবী সব্যসাচীর পাতায় প্রতিভাত করার লক্ষ্য থেকে সে আজও আদর্শচ্যুত হয় নি। বিগত আঠাশ বছর ধরে এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে আসার পর এখন শুরু হয়েছে উনত্রিশের যাত্রা।
গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম। গণতন্ত্রের চিন্তা চেতনায় নিষিক্ত হয়ে উন্নত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে পদচারণা সংবাদমাধ্যমের। সমাজ ও রাষ্ট্রের দর্পণ হিসেবে সংবাদমাধ্যমের গুরুত্ব অপরিসীম। উন্নত রাষ্ট্রের পাদপীঠে সমুন্নত সমাজের ধারক ও বাহক সংবাদমাধ্যম। দেশমাতৃকার সেবায় সে নিয়োজিত প্রাণ। সংবিধান ও গণতন্ত্রের এমনতর ভাবনা ও মতাদর্শকে সামনে রেখেই পথচলা শুরু করেছে দৈনিক বিপ্লবী সব্যসাচী। আমরা বিশ্বাসী গতিশীলতায়, কুসংস্কারমুক্ত সমাজভাবনায়, কল্যাণকামী রাষ্ট্রভাবনায়। জণগনমন অধিনায়ক ভারতবর্ষের বেদিমুলে বিপ্লবী সব্যসাচী তার সেবাদর্শতায় এক অক্লান্ত সৈনিক। মানুষের পক্ষে, মানুষের জন্য, মানুষের দ্বারা এমনতর গণতান্ত্রিক চেতনায় সম্পৃক্ত বিপ্লবী সব্যসাচী। আদ্যন্ত জনকল্যাণের পক্ষে এক দৈনিক সংবাদপত্র। যার জন্ম হয়েছিল ঐতিহাসিক মেদিনীপুর শহরের পাহাড়ীপুর এলাকায় ১৯৮৮র ৪ আগষ্ট। আর কিছু শুভানুধ্যায়ী মানুষের অনুপ্রেরণায় যিনি সীমিত ক্ষমতার চৌহদ্দিতে থেকেও নিজের কঠোর শ্রম ও সংগ্রামে ব্রতী হয়ে সম্পাদনা ও প্রকাশনার ভার সেদিন গ্রহণ করেছিলেন তিনি নিশীথ কুমার দাস। যাঁর সংগ্রামী মানসিকতায় বিপ্লবী সব্যসাচীর বহমান ধারা বয়ে চলেছে আজও। এখন যা পাহাড়ীপুর থেকে স্থানান্তরিত হয়ে শহরেরই অরবিন্দনগরে স্থায়ী দফতর থেকে নিয়মিত প্রবহমান।
সুগভীর আত্মপ্রত্যয় ও বিরামহীন শ্রমকে পাথেয় করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে অঙ্গীকারে বিপ্লবী সব্যসাচী যাত্রা শুরু করেছিল তা থেকে পথভ্রষ্ট হয় নি আজও। সংবাদপত্রের কন্টকাকীর্ণ পথের সংগ্রামমুখর কর্মময়তায় অগ্রসরমান সে। সংবাদ-সাহিত্য-সংস্কৃতির সফল উপস্থাপন এবং মানবাধিকার রক্ষায় বরাবর আস্থাশীল থেকে বিপ্লবী সব্যসাচী আজ দুই মেদিনীপুর তথা তার বাইরেও অজস্র মানুষের সাথী হয়ে উঠেছে। মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতার প্রধান বৈশিষ্ট্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এবং আধুনিক রুচি ও মনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বৈচিত্রময় বিজ্ঞাপন এর বাহারি চিত্রায়ন। বিপ্লবী সব্যসাচীর প্রধান বৈশিষ্ট্যই যেখানে কোনওরকম রক্তচক্ষুর কাছে নীরব আত্মসমপর্ণ নয়, কোনও রাজনৈতিক চাপ ও পথভ্রষ্টতার সঙ্গে চাটুকারিতা নয়, বরং তীক্ষ্ণ সমালোচনায় এই সমস্ত বিচ্যুতির বিরুদ্ধে তার কলম-ক্যামেরা জাগ্রত হয়ে ওঠার কারনেই সে আজ দুই মেদিনীপুর জেলা ছাড়িয়েও বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের একান্ত সুহৃদ হয়ে উঠতে পেরেছে। এছাড়াও পুরনো সময়ের মুদ্রণযন্ত্রের পর বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই আধুনিক প্রযুক্তির অফসেট মুদ্রণযন্ত্রে নিয়মিত প্রকাশ পেয়ে চলেছে বিপ্লবী সব্যসাচী। বিশেষ বিশেষ দিনে রঙিন পত্রিকা, বর্ণময় রঙিন বিজ্ঞাপন বিপ্লবী সব্যসাচীকে সর্বজনের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। সীমিত সামর্থ্যেও নিশীথ কুমার দাসের বলিষ্ঠ সম্পাদনায় আগামী দিনে আরও বিস্তৃতি বাড়ানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। আর এসবই সম্ভবপর হচ্ছে পত্রিকার সমস্ত সাংবাদিক, সংবাদকর্মী, লেখককুল, শুভানুধ্যায়ী, সহৃদয় বিজ্ঞাপণদাতা, পত্রিকা বিক্রেতাসহ সমস্ত স্তরের মানুষের একান্ত প্রচেষ্টায় ও সহযোগিতার কারনেই। সকলের সহযোগিতা ও সহমর্মিতায় বিপ্লবী সব্যসাচী ঋদ্ধ, সুসংহত, সুসমৃদ্ধ, সংগ্রামশীল।

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.