৩৩ তম বর্ষ, ২৬ সংখ্যা, ২৯ আগষ্ট ২০২০, ১২ ভাদ্র ১৪২৭

আমাদের দেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশন স্বাধীন স্বশাসিত সংস্থা। বিধানসভা নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচনের প্রধান নিয়ামক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ঐতিহ্য ও গরিমা গোটা বিশ্বেই সুবিদিত। নির্বাচ্চন সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি, বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দী রাজনৈতিক দলগুলির জন্য ভোটের নির্ঘন্ট, আদর্শ আচরণবিধি থেকে শুরু করে একেবারে নির্বাচানী বর্ণনা ও ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সমস্ত দায়িত্ব পালন করে থাকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সব দলের কাছেই ভোটযোজ্ঞে নির্বাচন কমিশনের বিধান চুড়ান্ত মানেই চূড়ান্ত আইন। কমিশন ঘোষিত ও আরোপিত সমস্ত বিধি শিরোধার্য করতে হয় সব প্রতিদ্বন্দী দলকে। নির্বাচন কমিশনের কাজ হল স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা, গণতান্ত্রিকতা বয়াজায় রেখে সমস্ত ভোটযজ্ঞ পরিচালিত করা। যদিও কখনও সখনও কোনও না কোনও দল নির্বাচন কমিশনের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে, নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এমনকী আদালতের দ্বারস্থ হয়। তা এটা সব দলেরই গণতান্ত্রিক অধিকার। বিতর্ক যখন ওঠেকোনও বিষয়ে তখন সেই নিয়ে মামলা হলে আদালতের রায়ই শেষ কথা ও চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের গুরুদায়িত্ব সুষ্ঠ ও স্বচ্ছভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে সেই সমস্ত নিরবাচনী কর্মকান্ড পরিচালনা করা। এই অতিমারিস সময়ে সেই দায়িত্ব আরও বেড়েছে। এ বছরের শেষে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। কিন্তু যেভাবে কোভিড-১৯ অতিমারি গোটা ধেশে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে, হাসপ্তালে করোনা আক্রান্তদের লড়াই করতে হচ্ছে। সেই আবহে কোনও নির্বাচন পরিচালনা করা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে মাস্ক ও গ্লাভস ছাড়া ভোট নয়। মাস্ক ছাড়া কেউ বুথে প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া অনলাইনে বা প্রার্থীদের ২ জনকে সঙ্গে মনোনয়ন দাখিল করতে হবে রিটার্নিং অফিসারদের কাছে। কোনও বড় জমায়েত নয়, এমনকী প্রার্থী সর্বাধিক ৫জনকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে পারবেন। একই সঙ্গে করোনা সতর্কতায় আরও নানাবিধ নিয়মাবলি বা গাইড লাইন জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। কমিশন এই কঠিন পরীক্ষায় কতখানি সফল হয়ে ওঠে সেদিকেই চোখ থাকবে সকলের।

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.