শুভম সিং: শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরেই আজ, সোমবার নন্দীগ্রামের মাটিতে প্রথম জনসভা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি।আর তার আগেই বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত শহর দীঘার পদিমা ১ পঞ্চায়েতের দক্ষিণ শিমুলিয়া এলাকায়। বিজেপির অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় দীঘা বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় বিজেপির একটি পার্টি অফিসে ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা।অফিসের মধ্যে থাকা চেয়ার-টেবিল-সহ আসবাবপত্র ও সরঞ্জাম ভেঙে দেওয়া হয়।পাশাপাশি এলাকায় দলীয় পতাকাও খুলে দেয় দুষ্কৃতীরা।স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ,নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে তৃণমূলের কর্মীরা গতকাল রাতে দীঘার বিভিন্ন এলাকায় তাদের দলীয় পতাকা টাঙিয়ে দেয়।আর সেই সময় তৃণমূলের কর্মীরাই বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির দলীয় পতাকা খুলে দেয় ও ভাঙচুর চালায়।আর এই ঘটনা সকালে বিজেপি কর্মীদের নজরে এলে তারা দীঘা বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় পথ অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।আর এই অবরোধের জেরে যানজট সৃষ্টি হয় দীঘায়।এরপর পথ অবরোধ ও বিক্ষোভের খবর পেয়ে দীঘা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল একটি সন্ত্রাসবাদী দল।তাই সেই সন্ত্রাস দল থেকে রক্ষা পেতে এলাকায় বিজেপির প্রতি মানুষের সমর্থন বাড়ছে। আর সেই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।তাছাড়া সাধারণ মানুষকে আহবান করছি আপনারা একত্রিত হয়ে এইসব সন্ত্রাসীদের এমন শুধরে দেন যাতে পরবর্তী দিনে এদের প্রিয়জনও এদের চিনতে না পারে।তাছাড়া সাধারণ মানুষকে পুনরায় আহবান করছি আপনারা এগিয়ে আসুন এই চরিত্রহীন সন্ত্রাসী দলকে পরাজিত করে ভারতীয় জনতা পার্টিকে পশ্চিমবঙ্গে প্রতিষ্ঠিত করুন ও সোনার বাংলা গড়ে তুলুন’’
যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বলেন, ‘‘এই সব ঘটনা এলাকার সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতা বা কর্মী যুক্ত নন। তৃণমূল এই ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।অপরদিকে,ফের ভগবানপুর ২ ব্লকের ইটাবেড়িয়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও দলীয় কর্মীদের উপর বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।তবে এই ঘটনা স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের নজরে এলে তারা আহত প্রায় ১০জন বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে।এরপর তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৬জন কর্মীকে ভূপতিনগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে বলে জানা যাচ্ছে।অভিযোগ,নন্দীগ্রামের মমতা ব্যানার্জির সময় বাসে করে যাওয়ার সময় তৃণমূল বেশকিছু কর্মী বাস থেকে নেমে আচমকাইদলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে এবং বিজেপি কর্মীদের মারধর করে।এরপর ঘটনার খবর পেয়ে ভূপতিনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।তবে এলাকা উত্তপ্ত থাকার কারনে ওই এলাকায় পুলিশের টহলদারি চলছে।