Nandigram
আরও পড়ুন ঃ–মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ , হুঁশিয়ারি শিশিরের
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন মঙ্গলবার। তাই শেষ দিনে দুই তারকা প্রার্থী সমর্থনের ঝড় নন্দীগ্রামে। এরাজ্যের পাশাপাশি ভারতবর্ষের নজর এখন নন্দীগ্রামে। আগামী ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন আগে শেষ প্রচারে জমজমাট নির্বাচনের বিধানসভা কেন্দ্র গুলি। আর এই দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে রাজ্যের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্র হিসেবে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম। যেখানে শুরু হয়ে গিয়েছে হাই ভোল্টেজের রাজনৈতিক লড়াই। আর এই দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের শেষ প্রচারে মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়া বাজার থেকে রায়পাড়া পর্যন্ত রোড শো করেন অমিত শাহ।
এরপর রেয়াপাড়াতে প্রাচীন একটি শিব মন্দিরে যান তিনি। তবে এদিন এই রোড শো-য়ে ভিড় ছিলে চোখে পড়ার মতো। যা দেখে আপ্লুত বিজেপির ‘চাণক্য’। এদিন রোড শো তিনি বলেন, ‘এই ভিড়ই প্রমাণ করছে এবারের ভোটে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু জিতছেন বড় ব্যাবধানে।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘পরিবর্তনের একটাই রাস্তা, নন্দীগ্রামে মমতা দিদিকে হারাতে হবে। তাহলেই গোটা রাজ্যে পরিবর্তন আসবে।’ এছাড়াও রেয়াপাড়ার কাছে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ধরে বাংলায় নারীদের নিরাপত্তা-সুরক্ষা নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে এদিন শুভেন্দুর সমর্থনে অমিত শাহের পাশপাশি প্রচারে করেন মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শো রয়েছে নন্দীগ্রাম বাস স্ট্যান্ড থেকে টেঙ্গুয়া মোড় পর্যন্ত। প্রার্থী শুভেন্দুর সমর্থনে প্রচার করবেন মিঠুন। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তাই প্রচারের ভিড় কমবে না নন্দীগ্রামে।
অপরদিকে , এদিন নন্দীগ্রামের ক্ষুদিরাম মোড় থেকে ঠাকুরচক পর্যন্ত রোড শো করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা । হুইল চেয়ারে করেই রোড শো-তে নেতৃত্ব দেন তিনি। তবে শেষ মুহূর্তের প্রচারে টেঙ্গুয়ার জনসভা থেকে এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেন , নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের সময় ‘পাশে ছিল না গদ্দাররা। যার বাড়ি থেকে গুলি চলল, এখন গদ্দারের ডান হাত। গোকুলনগর দখল করবে বলে গদ্দার বলছে। গুণ্ডাদের শায়েস্তা করতে হবে।’ তাছাড়া বিরুলিয়া বাজারে আহত হয়েছিলান, ‘আমার আহত হওয়ার পিছনে নন্দীগ্রামের মানুষ নয়, বহিরাগতরা আছে।’ পাশাপাশি অমিত শাহর কনভয়ে গাড়ির সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘কনভয়ে ৩০টির বেশি গাড়ি কেন ? সঙ্গে বন্দুক, গোদা গোদা দেখতে। নন্দীগ্রামের মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে গুণ্ডা দিয়ে। আমদাবাদ, গোকুলনগরে, রেয়াপাড়ায় ভয় দেখিয়েছে। রাতে গুণ্ডা ঢুকছে। আমি ভোটার, আমি থাকবই। গুণ্ডারা গুণ্ডামি করতে এলে মা-বোনেরা এগিয়ে আসুন। একজনের গায়ে হাত দিলে হাতা-খুন্তি নিয়ে বেরোন। দেখতে চাই খেলায় কে হারে, কে জেতে।’ মমতার অভিযোগ, ‘দিল্লি থেকে এক হাজার নেতা টাকার বাক্স নিয়ে বসে আছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজ পুলিশের গাড়ি করে টাকা পাঠানো’। তবে অমিত-মমতার উপস্থিতিতে নন্দীগ্রামের ভোট মঞ্চে যে উচ্চগ্রামে সুর বেধে দিয়েছে, তা একই তালে বাজতে থাকবে। তারপর সব শান্ত। অপেক্ষা এপ্রিল পয়লার।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Nandigram
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore