আরও পড়ুন ঃ–মেদিনীপুর-খড়্গপুরের সংযোগ রক্ষায় দ্বিতীয় সেতু তৈরির ভাবনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ এরাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্ৰামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি(CID)।বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানা ও কাঁথিরশুভেন্দু-নিবাস শান্তিকুঞ্জের লাগোয়া বাড়িতে আসে সিআইডি’র (CID) ৩ জন প্রতিনিধি সদস্য।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ১২ টা নাগাদ সিআইডির ৩জন প্রতিনিধি দল কাঁথি থানায় উপস্থিত হয়। এরপর তারা প্রায় আধঘণ্টা থানার আইসি’র সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর তারা থানা থেকে সরাসরি চলে যায় শুভেন্দু অধিকরির বাড়িতে। যেখানে শুভেন্দুর দেহরক্ষী গুলিবিদ্ধ হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর সকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী(Minister) শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) দেহরক্ষী শুভব্রতর। সেই সময় একটি স্কুলে কর্মরত ছিলেন সুপর্ণা। একটি ফোনে জানতে পারেন তার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কাঁথি(Contai) হাসপাতালে প্রথমে ভর্তি করানো হলেও, শুভব্রত শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে দ্রুত। তড়িঘড়ি কলকাতা স্থানান্তর করার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। সুপর্ণার অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই নানা রহস্য দানা বাঁধে। কীভাবে গুলি লেগেছিল, তা এখনও পরিষ্কার নয় চক্রবর্তী পরিবারের কাছে। তাঁর প্রশ্ন, একজন মন্ত্রীর বিশ্বস্ত দেহরক্ষী হয়েও কেন অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরি হল? শুক্রবার সকালে এই সমস্ত অভিযোগ নেই কাঁথি থানায় একটি এফআইআর দায়ের করলেন সুপর্ণা।কিন্তু যেহেতু শুভেন্দু অধিকারী প্রভাবশালী ব্যক্তি, আর ওই সময় রাজ্যের মন্ত্রী থাকাকালীন তার প্রভাব ছিল দ্বিগুণ। কিছু বলার মত সাহস জুগিয়ে উঠতে পারেননি। তাছাড়া তিনি প্রায় ৬- ৭ বছর ধরে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করার সুবাদে কাঁথিতে থাকতেন। অবশেষে এই ঘটনায় তদন্ত শুধু করেছে পুলিশ।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Death investigation
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore