পত্রিকা প্রতিনিধি : আবার শক্তি দেখাতে এবং কেশিয়াড়ির মাটি ধরে রাখতে মরিয়া সবুজ দল।২১ শের ভোটের আগে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বরা একের পর এক সভা করে নিজেদের শক্তি দেখাতে চাইছে।মুকুল-কৈলাশের পাল্টা সভা হিসেবে কেশিয়াড়িতে মিছিল ও সভা শাসক দলের।ছিলেন রাজ্য মন্ত্রীসভার বিজ্ঞান,প্রযুক্তি বিভাগীয় মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।রবিবার বিকেলে কেশিয়াড়ি থানা থেকে বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত সুবিশাল মিছিল সংগঠিত করে তৃণমূল।মিছিলে পা মেলান তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি,রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুইয়া কল্পনা শিট,পরেশ মুর্মু সহ অন্যান্যরা।মিছিল শেষে কেশিয়াড়ি বাস স্ট্যান্ডে সভা করে শাসক দল।এইদিন বিজেপি ও মুকুল-কৈলাশকে তুলোধনা করেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।ব্রাত্য বলেন-“কৈলাশ বিজয় বর্গী যখন মুকুলকে নিয়ে এসে সভা করেছে তখন আপনারা কেন বলছেন না ভাগ মুকুল ভাগ।” TMC, TMC, TMC,
আরো পড়ুন- গুড়গুড়িপালে হুলা পার্টির হল্লায় ভাগলো দাঁতাল বাহিনী
বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ করেন মন্ত্রী।তিনি বলেন-“বিজেপি শুধু মুসলিম বিরোধী দল নয়, বিজেপি আসলে বাঙালি বিরোধী দল।”পাশাপাশি অর্জুন সিং,দিলিপ ঘোষের নাম করে বিজেপি কে কটাক্ষ করে বলেন-“বাংলার বাইরে থেকে এসে এখানে অবাঙালি মুখ্যমন্ত্রী বানাতে চাইছে বিজেপি।”
পাশাপাশি এইদিনের সভা থেকে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি দ্রুত গঠনেরও কথা বলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি।তিনি বলেন-“খুব দ্রুত পঞ্চায়েত সমিটি গঠন হবে।ইতিমধ্যে প্রশাসন সেই কাজ চালাচ্ছে।”
পাশাপাশি মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীকে কটাক্ষ করে বলেন-“কেশিয়াড়ির ফসল বর্গী এসে খেয়ে গিয়েছিল। সেই ফসল আমাদের নতুন করে বানাতে হবে। সেইজন্যেই এই প্রতিবাদ সভা।”
এইদিনের এই প্রতিবাদ সভা থেকে প্রায় ৫০ টি পরিবার যোগ দেয় তৃণমূলে।কৃষি আইন এবং হাথরাসের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় সভা থেকে।অর্থাৎ শাসক ও বিরোধী দুইপক্ষই মরিয়া কেশিয়াড়ি দখলে।২১ শের নির্বাচনের আগে শক্তি দেখাতে ব্যস্ত দুই দল।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi