পত্রিকা প্রতিনিধি : আজ ২৮ মে,জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডের ১০ বছর পূর্ণ । দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ১৪৮ জন।২০১০ সালের ২৭ মে গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের সরডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় হাওড়া থেকে মুম্বইগামী আপ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ঠিক ওই সময়ে ডাউন লাইনে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ি সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির ।১৪৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়।১০০ জনেরও বেশি যাত্রী আহত হন, সাথে নিহত হন মালগাড়ি চালকও। অভিযোগ মাওবাদীর পক্ষ থেকে আপলাইনের প্যানড্রোলক্লিপ ও ফিসপ্লেট খুলে দেওয়ায় দুর্ঘটনা হয়।
জ্ঞানেশ্বরী চালকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের কাছে মামলা হলেও পরে তদন্তের ভার নেয় সিবিআই ।গ্রেপ্তার করা হয় কুড়ি জনকে পরে দুজনকে জামিন দেওয়া হয় এখনো জেলবন্দি ১৮ জন ।মামলা চলছে মেদিনীপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের আরডি কোর্ট অর্থাৎ রি ডেজিগনেটেড কোর্ট আদালতে ।অভিযুক্ত পক্ষের অন্যতম আইনজীবী দেবাশীষ মাইতি জানান ২২৫জন সাক্ষীর মধ্যে ১২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন জেলবন্দি রয়েছেন ।
রাজ্য সরকারের কাছ থেকে মৃতের পরিবার গুলি আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেলেও অনেকেই আছেন যাদের পরিবারের মানুষেরা মৃত্যুর শংসাপত্র পাননি।মৃতের পরিজনদের আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভকত বলেন ,” ১৮৪ জন মৃত যাত্রীর মধ্যে ২৩ জন যাত্রীর এখনো মৃত্যুর শংসাপত্র পাওয়া যায়নি “।
আজকে দশ বছর পার হয়ে গেলেও খেমাশুলি সরকার মাঝে রাজা এখনো আপলাইনের ধারে পড়ে রয়েছে জ্ঞানেশ্বরী দোমড়ানো মোচড়ানো কামরা গুলি ।রেল লাইনের ধারে সেই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হিসেবে পড়ে রয়েছে কামরার অংশ ।