Home » করোনা ও ঘূর্ণিঝড়ের পর নয়া বিপদ পঙ্গপাল, সতর্কতা জরুরি, এখন বক্র রাজনীতি নয়, চাই সেবা

করোনা ও ঘূর্ণিঝড়ের পর নয়া বিপদ পঙ্গপাল, সতর্কতা জরুরি, এখন বক্র রাজনীতি নয়, চাই সেবা

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

সম্পাদকীয় প্রতিবেদনঃ- কোভিড-১৯ ও উমপুন -২০। আমাদের পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলায় কোভিড-১৯ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতর, জেলা পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। জেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর একে অপরের পরিপূরক। এর সঙ্গে আছে পরিবহণ দফতর। লকডাউন চলছে। আরও লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ৩০ মে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দফতর জানিয়ে দিল পঞ্চম দফায় লকডাউন চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে লক ডাউনের মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সমস্ত স্তরে কড়াকড়ি তুলে দিয়ে আর্থিক বৃদ্ধিতে ও ব্যবসায় কিছুটা গতি আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রেন বিমান, পরিযায়ী শ্রমিক ফেরানো নিয়ে যে বিপর্যয় তৈরি হয়েছে তা কোথায় দাঁড়াবে এবং করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কোথায় পৌঁছাবে তা এখুনি বলা মুশকিল। তবে যে হারে দেশে করোনায় সংক্রমণ বেড়ে চলেছে তার ফলস্বরূপ বিশ্বে ইতিমধ্যে ভারত নবম স্থান অধিকার করেছে। এরজন্য সবটাই দায়ী কিন্তু রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার নয়। দায়ী আমরা জনগণও। রাজ্যগুলিতে যত পরিযায়ী শ্রমিক ঢুকছে ততই করোনায় সংক্রমণ বাড়ছে। বর্তমানে দৈনিক প্রায় ৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সংখ্যা আগামী দিনে কোথায় পৌঁছাবে তা কারও পক্ষে বলা সম্ভব নয়। উম্পুন-এর প্রলয় ঝড়ে আমরা সবাই ভুলে গিয়েছিল করোনার কথা। কিন্তু করোনা তার সংক্রমণ বাড়িয়েই চলেছে। এর উপর এসে পৌঁছালো ঘূর্ণিঝড়। জোড়া ধাক্কা। কলকাতায় উমপুনের তাণ্ডবে জল, বিদ্যুৎ নিয়ে বহু সমস্যা তৈরি হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় মহানগরের মানুষজনকে। কিন্তু জেলাগুলিতে মানুষেরা কি কষ্টে দিন কাটালেন তা কি বিরোধীরা আনুভব করছেন ? করোনা ও উমপুন নিয়ে বিরোধীরা বিশেষত বিজেপি যে রাজনীতি করে চলেছেন তা বন্ধ করে মানুষজনের পাশে দাঁড়ান, কি ভাবে মানুষ ভালো থাকবেন তার জন্য সহযোগিতা করুন। ইতিমধ্যে গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশে পঙ্গপাল এসে হাজির হয়েছে। এই পঙ্গপালের দল পাকিস্তান থেকে এসেছে বলে কেন্দ্রের পরিবেশ দফতর জানিয়েছে। ইতিমধ্যে গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশে হাজার হাজার বিঘার ফসল খেয়ে ফেলেছে। এই পঞ্চপালের দল আমাদের রাজ্যে পৌঁছতে পারে বলে কোনও কোনও মহলের আশঙ্কা। আর যদি আসে তখন তাদেরকে আটকাতে পারবেন তো বিরোধী রাজনীতিবিদরা? তাই এখন সবাই মিলে মিশে বাঁচার চেষ্টা করা দরকার, রাজনীতি করে নয়। বেঁচে থাকলে তবেই তো ২১-এর নির্বাচনে লড়ার প্রসঙ্গ আসবে। এখন মানুষকে আপাত বিপদ থেকে বাঁচাতে সকলের পাশে না দাঁড়িয়ে কেবলই সংকীর্ণ রাজনীতি করেন, জনগণ কি সেটা ভালো চোখে দেখবেন?

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.