প্রত্রিকা প্রতিনিধিঃ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মুখেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিজেপি নেতা এবং শুভেন্দু অধিকারীর কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা প্রত্যাহার করল রাজ্য সরকার। আর সেই মামলা প্রত্যাহারের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে, তবে কী নির্বাচনের মুখেই গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যাচ্ছেন তিনি ? যদিও এ বিষয়ে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বরাবরই অধিকারী সাম্রাজ্যের অন্যতম সদস্য তথা শুভেন্দু অধিকারীর কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত পাঁশকুড়ার জনপ্রিয় নেতা আনিসুর রহমান। তবে মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পরেই দলে কোনঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। এরপর পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর বিরোধ তুঙ্গে পৌঁছায়। তবে তার কিছু দিনের মাথায় শুভেন্দুর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন আনিসুর। তবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ২০১৯ সালে দুর্গাপুজোর নবমীর দিন রাতে পাঁশকুড়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি কুরবান শাহের খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় আনিসুরের। এরপর গ্রেফতার হন তিনি। যদিও গত কয়েক মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছের মানুষ শুভেন্দু অধিকারী।
তবে আসন্ন বিধানসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুর সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য যে আনিসুর রহমানের মতো একজন নেতার দরকার, সেই আভাস মিলেছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। গত জানুয়ারি মাসে নন্দীগ্রামের তেখালির জনসভা থেকে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেই ফেলেছিলেন, ‘আনিসুরকে অত্যাচার করে জেলে রেখে দিয়েছে।’ স্পষ্টতই তাঁর নিশানায় ছিলেন দলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী। তবে আজ , মঙ্গলবার তমলুক জেলা সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন আনিসুর রহমান বলে জানা যাচ্ছে।