TMC BJP
আরও পড়ুন ঃ–হলদিয়ায় স্কুটার চালিয়ে বিজেপি প্রচার করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ নির্বাচনের প্রক্কালে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লকের জুখিয়া এলাকা। ভগবানপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মাইতি-সহ একাধিক বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ বিজেপির মিছিল থেকেই তাদের উপর হামলা করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে তৃণমূল প্রার্থী অর্ধেন্দু মাইতি’র সমর্থনে জুখিয়া থেকে মুগবেড়িয়া পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের একটি মিছিল বের হয়। তখনই বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মাইতি নির্বাচনী প্রচার সেরে গাড়িতে করে ফিরছিলেন৷ তখনই তৃণমূল আশ্রিত দৃস্কৃতীরা তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়। আর তারপর তা থেকে দুপক্ষের শুরু হয় হাতাহাতি। বিজেপির প্রার্থীর অভিযোগ তাঁরও গায়ে হাত তোলা হয়েছে পাশাপাশি তার চশমা ভেঙে দেয় ও তাদের লক্ষ্য করে ইঁট পাথর ছুঁড়ে বলে অভিযোগ বিজেপির। তবে এই ঘটনার জেরে দীর্ঘসময় সময় যানবাহন থমকে গিয়ে বিপদে পড়েন সাধারণ মানুষ। আর এই গন্ডোগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে পাথরের আঘাতে জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। দুইপক্ষের তিন-চারজনও গুরুতর আহত হয়েছেন। এরপরই মৃদু লাঠিচার্জ করে বিজেপি কর্মীদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে নির্বাচন কমিশন এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে কি ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেন সেটাই এখন দেখার ।
তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপির কর্মী সমর্থকরাই তাদের মিছিল লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়েছিল। তাতেই দলের কর্মীরা খেপে যান। বস্তুত, এদিন ওই এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী অর্ধেন্দুশেখর মাইতির সমর্থনে একটি সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখার কথা ছিল তৃণমূল সাংসদ তথা টলি অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও। কিন্তু রোড শো না করেই ফিরে যেতে হয় তাঁকে৷
অপরদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের একটি চূড়ান্ত বর্বর দল তৃণমূল ও তার শাসন। আর নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা পুলিশ প্রশাসন’কেও তার প্রভাব করিয়ে ভগবানপুরের বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলা চালায়। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তাছাড়া এই দল আগামীদিনে যদুঘরে পরিনত হবে , কিন্তু বাস্তবে থাকবে না।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ব্লক তৃণমূল সভাপতি শশাঙ্ক জানা বলেন, ‘‘মিমি চক্রবর্তীর রোড-শো বানচাল করতেই বিজেপি পরিকল্পিত ভাবেই হামলা চালায়৷ আর প্রার্থীও সেসময় গণ্ডগোল পাকানোর জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবেই রাস্তায় ঢুকে পড়েছিলেন৷ প্রার্থীর গাড়িতে কেউ হামলা চালায়নি। নিজেরা গাড়ি ভাঙচুর করে। বিজেপি তাণ্ডব চালালেও পুলিশ ছিল নির্বিকার৷ দলীয় পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়৷ একাধিক বাইকের ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয়৷’’
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
TMC BJP
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore