পত্রিকা প্রতিনিধিঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর ২৩২ নং কোবরা ক্যাম্পে চলল গুলি। রবিবার রাতে রিভলবার দিয়ে ক্যাম্পের গুজরাটের রাবেরী সেজেল বেন (২৭) নামের এক মহিলা জওয়ানকে গুলি করে নিজে আত্মহত্যা করলেন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা রাজীব কুমার যাদব (৩৭) নামের এক সিআরপিএফ জওয়ান। জানা গিয়েছে , নিহত ওই মহিলা জওয়ান রাবেরী’র এদিন নাইট ডিউটি ছিল।
কিন্তু, তাঁকে ডিউটিতে না দেখতে পেয়ে বাহিনীর অন্যান্য জওয়ানরা তাঁর খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন, একটি ঘরে দু’জনের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে! মাঝখানে পড়ে রয়েছে রাবেরী’র ‘ইনসাস’ সার্ভিস রিভলবারটি। জানা যায়, রবিবার রাতের দিকে শালবনির কোবরা ক্যাম্পে ডিউটি ছিল লেডি জওয়ানের। কিন্তু তাঁকে কাজে উপস্থিত থাকতে না দেখে সন্দেহ হয় সহকর্মীদের।
এরপর ক্যাম্পের অস্ত্রশস্ত্রের দায়িত্বে থাকা জওয়ান রাজীব কুমার যাদবেরর সঙ্গে তাঁর একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে সকলে জানতেন। তাই রাতে রাবেরি যখন কাজে যোগ দেননি এবং আশেপাশে কোথাও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তখন তাঁর খোঁজে জওয়ানরা যান রাজীব কুমারের ঘরে। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় দুই জওয়ানের রক্তাক্ত দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, রাবেরির বুকে গুলির ক্ষত রয়েছে, মাথায় গুলি চলেছে রাজীব কুমারের। তবে রাতের দিকে এই ঘটনার কথা সোমবার দিনের বেলা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে শালবনির এই ক্যাম্প।
এরপর শালবনী থানার পক্ষ থেকে দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে দুই জওয়ানের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে কেন এমনটা ঘটল, তা কেউই স্পষ্ট নয়। ক্যাম্পের অস্ত্রশস্ত্র রাখার দায়িত্বে ছিলেন রাজীব কুমার যাদব। সেই অস্ত্রভাণ্ডার থেকেই কি কোনও অস্ত্র ব্যবহার করে তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যে কেউ কাউকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, উভয়ের মধ্যে অশান্তির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।