Shuvendu’s Support Center
আরও পড়ুন ঃ-করোনা রোগীর সংখ্যা কমায় বন্ধ হচ্ছে মেদিনীপুর শহরের আয়ূষ হাসপাতাল
একুশের নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা তত প্রকট হচ্ছে।আর এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে এবার দেওয়ালে গেরুয়া রং করে শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্র খুললেন তাঁর অনুগামীরা।পাশাপাশি গেরুয়া রং-এর পাঞ্জাবী পরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতেও পিছপা হলেন না শুভেন্দু অনুগামী হিসেবে পরিচিত তৃণমূল নেতা কনিষ্ক পণ্ডা।আর তা নিয়ে এখন জল্পনা তু্ঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।শনিবার একেবারে ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শুভেন্দু অধিকারী খাস তালুক বলে পরিচিত কাঁথি শহরে রূপসী বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়। কি এমন হল, যে রাতারাতি ভোলবদল।তৃণমূল পরিচালিত ব্যবসায়ী সমিতির অফিস থেকে শুভেন্দু অধিকারী সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হল। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল নেতৃত্বর ফোনে যোগাযোগ শুভেন্দুর সঙ্গে, পালস বোঝার চেষ্টা। তৃণমূলের দুই সাংসদ সৌগত রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারির বৈঠক রাজ্যবাসী দেখেছে। কিন্তু তাতেও চিড়ে ভিজলো না।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এপর্যন্ত যেকটি সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে তাতে অফিসের রং কিন্ত স্বাভাবিক করা হয়েছে।এই অফিস টি কিন্ত সম্পর্ক রূপে গেরুয়া রং এ মুড়ে ফেলা হল।যা বিজেপির রংঙের ইঙ্গিত। শুভেন্দু অধিকারী কি তাহলে বিজেপিতে যাচ্ছেন ? প্রশ্ন ছিল অনুগামী ও শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কনিষ্ক পণ্ডার কাছে।তিনি সামান্য ইঙ্গিতদিলেও শুকৌশলে এড়িয়ে যান প্রশঙ্গ।তার গায়েও আজ থেকে গেরুয়া পাঞ্জাবী।অথচ তিনি এখনও জেলা তৃণমূলের নেতা।তা হয়েও মমতা ব্যানার্জীকে বিধতে ছাড়লেননা।তিনি বললেন মমতা ব্যানার্জী বাংলাদেশী।তিনি বহিরাগত বলছেন।নিজেইতো বাংলাদেশী।বহিরাগত।মমতা ব্যানার্জীর চ্যাপ্টার ওপেন করে যতদিন না নবান্ন থেকে সরানো হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই সব শুভেন্দু সয়ায়তা কেন্দ্র খোলা থাকবে।শুভেন্দু মমতার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।দিদি রেডি হন শুভেন্দু অধিকারী গ্রামের পান্তা খাওয়া গামছা পরা ছেলে আপনার বিরুদ্ধে লড়বে। আর গেরুয়ার প্রশঙ্গে বলেন মমতা ব্যানার্জী নিজেইতো গেরুয়া অর্থাৎ বিজেপির সঙ্গে ছিলেন।নাড্ডার কনভয়ে হামলা এটা লজ্জার।
এদিন তৃণমূল নেতা কনিষ্ক পন্ডা বলেন,এটি কোনো পার্টি অফিস ছিল না,এটা ব্যবসায়ী সমিতি অফিস ছিল।তাছাড়া বাংলার মানুষের প্রত্যেক বিধানসভার মানুষের জন্য কাজ করার জন্য একটি সহয়তা কেন্দ্র দরকার ।তাই এটি পার্টি অফিস নয় ,শুভেন্দু অধিকারী সহায়তা কেন্দ্র।যে আমাদের কাছে বিভিন্ন কাজের সমস্যা নিয়ে আসবে সেই সমস্ত মানুষের সমস্যা আমাদের কর্মীরা লিখে রাখবেন।আর পরবর্তী সময়ে আমরা সেই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবো।তাছাড়া “আমি এখনও তৃণমূলেই রয়েছি। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে তৃণমূল ত্যাগী। তাই এই সহায়তা কেন্দ্র ত্যাগের রঙ গেরুয়াতে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে।”সপ্তাহ খানেক আগে বাঁকুড়া সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি দাবি করেছিলেন যে সিপিএম লোভী, বিজেপি ভোগী আর তৃণমূল হচ্ছে ত্যাগী।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন,গেরুয়া রং বিজেপির প্রতীক নয়,গেরুয়া রং ভারতবর্ষের ঐতিহ্য।ভারতবর্ষে গেরুয়া রং ছিল।তবে পরে এই রাজনীতির তিন চিটিংবাজ মিলে মিশে এই রংবদল করেছে।কিন্তু গেরুয়া’ই আমাদের ঐতিহ্য।গেরুয়া রং হচ্ছে অগ্নির প্রতীক,আর আগুন জ্বললে গেরুয়া হয়।তাছাড়া আমাদের এই ঐতিহ্য’কে যারা যারা আ়ঁকড়ে ধরছে তারা ভালো।পরবর্তী দিনে পুরো পশ্চিমবঙ্গ গেরুয়াময় হবে।পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬ টি আসন গেরুয়াময় হবে।আর তার ছবি আজ থেকে বিভিন্ন জায়গায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।তাছাড়া বিজেপি যারা আসছে তারা হার্মাদ পশ্চিমবঙ্গ শাসনের অবসান চাই।এরপর থেকে বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন সবই গেরুয়া রং লাগিয়ে নিবে।কারন প্রত্যেকে বোঝাই চায় আমি ভালো কাজের সঙ্গে আছি।তাছাড়া গেরুয়া তো ত্যাগের প্রতীক নয়,তাই সকলে গেরুয়া রং ব্যবহার করছে।এটা পশ্চিমবঙ্গের বুকে এটি খুব ভালো লক্ষণ।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Shuvendu’s Support Center
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore