পত্রিকা প্রতিনিধি: কয়েকদিনের জ্বরে একব্যাক্তির মৃতদেহ সৎকারকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ালো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার বলপাই গ্রামে।হাসপাতালে ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা করা হয়নি এই দাবি তুলে মৃত দেহ দাহ করতে বাধা দেন গ্রামবাসী।ফের নিয়ে গিয়ে সবং হাসপাতালে পরীক্ষা করালে পজিটিভ ধরা পড়ে। ভোর ৪ টা থেকে পুরো বলপাই চত্বর আতঙ্কে টইটুম্বুর হয়ে রইল। আপাতত ওই মৃত দেহ প্রশাসনের দায়িত্বে রয়েছে।জানা যায় খড়্গপুর মন্দিরতলায় ইলেকট্রিক চুল্লিতে দাহ হবে ওই মৃত ব্যক্তির।
বলপাই এর ওই পরিবার সুত্রে জানা যায় গত তিন থেকে চার দিন ওই ব্যাক্তি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিল,স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা চলছিল হাসপিতালে নিয়ে যায়নি পরিবার। সোমবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিয়ে যায় ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে। মঙ্গলবার ভোর তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয়। অভিযোগ পরিবারের করোনা টেস্ট না করেই ছেড়ে দেওয়া হয়, বলেন যে কিট পর্যাপ্ত নেই।
এরপর ওই পরিবার দেহ নিয়ে আসে গ্রামের বাড়িতে। এখানে গ্রামবাসীরা বলেন যতক্ষন না পর্যন্ত করোনা নেগেটিভ আসে আমারা পোড়াতে দেব ন।খবর যায় সবং থানায়।গ্রামবাসীদের দাবি সঙ্গতমনে করে শবদেহ গাড়ি পাঠানো হয় ওই বলপাই এর গ্রামে। গাড়ির শুধু চালক পিপিই কিট পরে হাজির কিন্তু একা দেহ তুলবে কিভাবে?কিন্তু পরিবার এবং গ্রামের কারো পিপিই কিট নেই তারা দেহ কিভাবে হাত দেবে।এই নিয়ে শুরু হয় তরজা।অনেক বাধা বিপত্তির পর দেহ আসে হসপিটালে সেখানেই পজিটিভ ধরা পড়ে।
এরপর শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।গ্রামবাসীরা পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক সংযোগ আছে বলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে।