পত্রিকা প্রতিনিধি: গত দুদিন (শুক্রও শনিবার) খড়গপুর রেল দফতরে নতুন করে কোনো আক্রান্তের খবর না থাকায় স্বস্তিতে রেল আবাসনের বাসিন্দারা।গত কয়েকদিন ধরেই সমগ্র খড়গপুর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে রেল আবাসনে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ।কিন্তু গত শুক্রবার ও শনিবার এই ২ দিনে কোনো পজিটিভ রিপোর্ট আসেনি।
শনিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী খড়গপুর শহর ও লোকালের অধীনে মোট করোনায় আক্রান্ত হলেন ৭ জন। এদের মধ্যে খড়্গপুর লোকালের তালবাগিচা সংলগ্ন দীনেশ নগর এলাকায় মোট ২ জন করোনায় আক্রান্ত হন। জানা যায় সম্পর্কে মামা (৩২) ও ভাগ্নে (২৩)। সম্প্রতি তাঁরা খড়গপুরের গোলবাজারে একসাথে বাজারও করতে এসেছিলেন বলে জানা যায়। পরিবার সূত্রের খবর বাজার শেষে মামা ও ভাগ্নে স্থানীয় কোনো দোকান থেকে কোল্ড ড্রিংকস কিনে খান। তারপরেই বাড়ি ফিরে দুইজনের শরীরে জ্বর আসে। শুধু তাই নয় করোনার উপসর্গ (জ্বর-সর্দি-কাশি) দেখা যায়। দেরী না করে পরিবারের লোক গত ৬ আগস্ট তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠালে শনিবার রাতেই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অপর দিকে জ্বর নিয়ে ওই দুইজন বাড়িতে থাকায় কারা কারা সংস্পর্শে এসেছেন তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন পরিবারের লোকজন। এমনকি গোলবাজারে যেখান থেকে বাজার করেছেন তাঁদেরকেও চিহ্নিত করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।অপরদিকে রেলশহরের নিউ সেটেলমেন্ট এলাকার ১৮ নং ওয়ার্ডে এক ৫২ বছরের প্রৌঢ়ার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।খড়গপুর লোকালের অন্তর্গত সালুয়ায় বছর ৩৫ এর এক মহিলার ও ১ বছরের এক শিশুর গত ৬ আগস্ট লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হলে শনিবার রাতেই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
খড়গপুর শহরের ১৮ নং ওয়ার্ডের সুভাষপল্লী এলাকার এক ৩২ বছরের যুবকেরও করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে।এছাড়াও পুর শহরের ২৮ নং ওয়ার্ডের ঝাপেটাপুর নার্সিংভবনে এক ৫২ বছরের মহিলার শরীরে করোনার সংক্রমণ ঘটে বলে জানা গিয়েছে ।