পত্রিকা প্রতিনিধি :ফের উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর। আমফানের ক্ষতিপূরণ ও স্বজন পোষনের অভিযোগে এগরা- বাজকুল রাজ্য সড়কের পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের মতিরামপুর এলাকায় শুক্রবার় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে দেখালেন গ্ৰামের বাসিন্দারা।এই ঘটনার খবর পেয়ে পটাশপুর ২ পঞ্চায়েতের সভাপতি চন্দন সাউ ঘটনাস্থলে এলে বিক্ষোকারীরা তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।এরপর পটাশপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সেক আকতার আলি ঘটনাস্থলে এলে পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ সৃষ্টি হয় এলাকার বাসিন্দাদের।এরপর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে।তবে এই ঘটনার জেরে বেশকয়েকজন বিক্ষোভকারী ও পুলিশকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বিক্ষোকারীদের দাবি,আমফান ঝড়ে আমাদের যে পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে আমাদের থাকার মতো বাসস্থান নেই।পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পান বরজের ক্ষতি হয়েছে।কিন্তু এখনও পযর্ন্ত আমরা সরকার থেকে কোনো রকমে সাহায্য পাচ্ছি না।
তাছাড়া আমফান ঘূর্ণিঝড়ের পরে পটাশপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউ’এর কাছে ত্রিপল চাওয়া হয়।কিন্তু ত্রিপল চাওয়া হলেও তা পাওয়া যায়নি। তাছাড়া যাঁদের ক্ষতি হয়নি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ত্রিপল দিয়েছেন তিনি।আমফান বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণের তালিকাতে ক্ষতিগ্রস্তদের নাম নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু নামটুকু নিয়েই শেষ, তারপর আর তাঁদের কোনও ক্ষতিপূরণের দেওয়া হয়নি। অথচ এই আমফানের কাড়নে যাঁদের আসলে কোনও রকমের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি তাঁদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।এমনকি জানা গিয়েছে যাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে অনেকেরই পাকা বাড়িও আছে। তাছাড়া যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। যাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি কিন্তু ক্ষতিপুরনের টাকা পেয়েছেন তাঁদের টাকা ফেরত দিতে হবে। না হলে আমরা পরবর্তী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।
এবিষয়ে পটাশপুর ২পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউ বলেন,মানুষের এই অভিযোগকে একেবারে মিথ্যে।তাছাড়া বিজেপি,সিপিএম তাদেরকে উস্কে দিচ্ছে। যারা এখনো টাকা পাননি, তাদের কিছু ব্যাঙ্ক একাউন্ট এবং আধার কার্ডের সমস্যা রয়েছে। সে কারণে তাদের একাউন্টে টাকা ঢোকেনি বাকি সবারই টাকা ঢুকে গেছে।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন,আমফান ঝড়ের দাপটে পশ্চিমবঙ্গে বহু মানুষের বাড়িঘর, পান বোরজ ও পুকুরের মাছ নষ্ট হয়েছে।আর সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সরকারি অনুদান শাসকদলের চোর হার্মাদ নেতারা আত্মসাৎ করে দিয়েছে। এটা মানুষ কোনো দিন মেনে নিতে পারবে না।তাই তারা আজ অন্যায়ের বিরুদ্ধে পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ করছে।তাছাড়া যে আন্দোলন চলছে এটা মানুষের আন্দোলন।এ আন্দোলন বন্ধ করা সম্ভব নয়।