পত্রিকা প্রতিনিধি : চব্বিশে মার্চ থেকে লকডাউন তার ফলেই সমস্ত পরিবহন বন্ধ ছিল। আনলক হওয়ার সাথেই পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলায় আসতেই বাংলায় বাড়ছে উদ্বেগ। করোনা পজেটিভ সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া পৌরসভা বাসুদেবপুর গ্রামে একই বিল্ডিংয়ে সাতজনের এবং দুটি ব্লকে মিলে মোট ১১ জনের করোনা আক্রান্ত হয়েছে খোঁজ মিলেছে।
বিশেষ সূত্রে জানা যায় হলদিয়া পৌরসভার বাসুদেবপুর গ্রামে একই বিল্ডিং এ সাত জন সুতাহাটা থানা অন্তর্গত গুয়াবেড়িয়া অঞ্চলের এক জন এবং হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতি গোরানখালিতে তিনজন এই মিলে মোট ১১ জনের করোনা পজেটিভ আশায় হলদিয়ায় মানুষের কপালে চিন্তা ভাঁজ পড়েছে নতুন করে।হলদিয়া পৌরসভার বাসুদেবপুর গ্রামে একই বিল্ডিং এ সাত জনের ওই এলাকায় সকলেই জানত ডাক্তারপাড়া বলেই। একই বিল্ডিং এ কিভাবে সাতজনের পজেটিভ হলো সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। সুতাহাটা থানার অন্তর্গত এক পরিযায়ী শ্রমিক তার ছেলে আসার জন্য তার মায়ের পজেটিভ এসেছে। হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত গোরানখালি এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিক।
প্রসঙ্গত,এর আগেই হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতি এলাকা দেউলপোতা অঞ্চল সাহু বাজারে পিতা-পুত্রের এবং একজনের গৌরাঙ্গ ধামের ভক্তের পজেটিভ মেলাতে বন্ধ রাখা হয়েছে সেই এলাকায় পিতা-পুত্রের হার্ডওয়ার, মুদি ও কাপড় দোকানসহ বন্ধ রাখা হয়েছে বাজার। ইতিমধ্যে সতীশ সামন্ত চ্যারিটেবল ট্রাস্টের উদ্যোগে ওই বাজারে স্যানিটাইজ করা হয়েছে।
গোরানখালিতে পরিযায়ী শ্রমিকের পজেটিভ আশায় নতুন করে কপালে ভাঁজ পড়ছে মানুষের। আতঙ্কিত হয়েছে এলাকায়।গত ২৯ শে জুন তাদের লালা রস পরীক্ষা হয় আজ পহেলা জুলাই তাদের রিপোর্ট আশাতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। হলদিয়া মহাকুমার হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা, হলদিয়া পৌরসভা বাসুদেবপুর দুর্গাচক থানা এবং সুতাহাটা থানার যৌথ উদ্যোগে ১১ জন পজেটিভ আক্রান্ত সকলকে পাঁশকুড়া বড়মা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে যুক্ত যারা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে হলদিয়া মহাকুমার হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।