শুভম সিং: দীর্ঘ লকডাউনের জেরে গত ২৩ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র।কিন্তু তা পরে অবশ্য সরকারি ভাবে মৎস্য নিলাম কেন্দ্র খোলার নির্দেশ পাওয়া গেলেও স্থানীয় মানুষদের অসুবিধার কারণে ৩০ জুন পর্যন্ত দিঘা মোহনার সামুদ্রিক মৎস্য নিলাম কেন্দ্র, শঙ্করপুর মৎস্য বন্দর ও শৌলা মৎস্য আহরণ কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মৎস্যজীবী সংগঠন।এরপর বহু টালবাহানার শেষে ১০১ দিনের মাথায় সরকারি নির্দেশকা মেনে বুধবার থেকে দরজা খুলে গেল দীঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রের।
প্রসঙ্গত,পূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ সামুদ্রিক মৎস্য নিলাম কেন্দ্র এই সমুদ্র সৈকত দিঘাতেই অবস্থিত। মৎস্যজীবীরা ট্রলার বা লঞ্চে করে মাছ ধরে এনে নিলাম কেন্দ্রে মাছ বিক্রির জন্য নিয়ে আসতেন। সেখানে মাছ নিলামের পর মৎস্যজীবীদের আহরণ করা মাছ কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এমনকি ভিন রাজ্যেও পাড়ি দিত। তবে সমস্ত বিষয়টি কেমন যেন ফিকে হয়ে যায় নোবেল করোনাভাইরাসের গ্রাসে। গত প্রায় তিন মাস ধরে লকডাউনের জন্য বন্ধ রয়েছে দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র। বন্ধ ছিল মাছ ধরাও। ১৫ জুন থেকে মাছ ধরা ও মৎস্য বন্দর নিলাম কেন্দ্র খোলার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। তবে করোনা সংক্রামনের কথা মাথায় রেখে স্থানীয় মানুষজনের অসুবিধার কারনে মৎস্য নিলাম কেন্দ্র খোলা বন্ধ হয়ে যায়। আর সেই আপত্তির কারণে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত দিঘা মোহনার সামুদ্রিক মৎস্য নিলাম কেন্দ্র, শঙ্করপুর মৎস্য বন্দর ও শৌলা মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলো।
স্থানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ী বলেন,সমস্ত সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই চলছে মাছের কারবার।কিন্তু পাইকারি বাজার খুললেও মাছের পাইকারি ব্যবসায়ীদের আনাগোনা অনেকটাই কম।ফলে ফিসিং শুরু হলেও সেভাবে দেখা নেই ইলিশের।চিংড়ি,পমপ্লেট অন্যান্য নোনা মাছের দেখা মিলছে ঠিকই ,কিন্তু তেমন দেখা নেই ইলিশের – ফলে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।
দিঘা-শংকরপুর ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোশিয়েশন এর ডাইরেক্টর নবকুমার পয়ড়্যা বলেন,আমরা সরকারি সমস্ত নির্দেশিকা মেনে গতকাল পুরো মৎস্য নিলাম বাজার স্যানিটাইজ করেছি।তাছাড়া সবাই সরকারি নির্দেশিকা মাস্ক, গ্লাভস ও জুতো ব্যবহার করছে।তাছাড়া বহুদিন বন্ধ থাকার পর যেহেতু আজ প্রথম বাজার খুলল তাই মাছের পাইকারি ব্যবসায়ীদের দেখা মিলেছে অনেকটাই কম।তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরপর এই নিলাম কেন্দ্রে সমস্ত ব্যবসায়ীদের সংখ্যা আরও বাড়বে।