পত্রিকা প্রতিনিধি : বিবাহের পর দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক এক গৃহবধুর আত্মহত্যা করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়াল কাঁথিতে।মঙ্গলবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির থানার পশ্চিম দারুয়া এলাকা।
জানা গিয়েছে,এগরার থানার ছোটো নলগেড়িয়ার বাসিন্দা বাসুদেব গিরি’র মেয়ে রীনা গিরি’র সাথে গত সাত বছর আগে বিয়ে হয় কাঁথি থানার পশ্চিম দারুয়ার এলাকার বাসিন্দা রাস রঞ্জন জানার।এরপর উক্ত বিবাহে যৌতুক হিসেবে মেয়ের বাড়ির পক্ষ থেকে গয়না, টাকা ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়।তারপর বিবাহের যৌতুক পছন্দ না হওয়ায় দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পর অতিরিক্ত যৌতুক হিসেবে নগদ কয়েক হাজার টাকা শ্বশুর বাড়ির উপর দাবি করে অভিযুক্ত স্বামী ও তার পরিবার।এরপর সেই টাকা ওই মৃতার বাবার বাড়িত থেকে না প্রদান করতে পারায় স্ত্রীর উপর ধারাবাহিক ভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করতে থাকে।এরপর গতকাল রাতে তাকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের।তাছাড়া তার একটি ৪বছরের সন্তান রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে বাড়ির ছাদে কড়িকাঠে হঠাৎই এই গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা।এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকেরা পশ্চিম দারুয়ায় এসে মৃতার স্বামী সহ তার শ্বশুর বাড়ির লোকেদের মারধর শুরু করে।
এরপর ঘটনার খবর পেয়ে কাঁথি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সামনেই চলে মারধর।মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ তাঁদের মেয়েকে খুন করে দড়িতে ঝুলিয়ে দিয়েছে জামাই সহ তার পরিবারের লোকেরা।এই ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সোমবার রাতে মৃতার পরিবারের লোকেদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হচ্ছিলো।কিন্তু এই ভাবে মৃতদেহকে সামনে রেখে দুই পরিবারের লড়াইতে জড়িয়ে পড়া কাঙ্খিত নয় ।.
কাঁথি থানার আইসি সুনয়ণ বসু বলেন,এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়না।তবে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মামলা রুজু করে তদন্ত নেমেছে।