পত্রিকা প্রতিনিধি: এলাকা দখল ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি। রবিবার দুপুরে আচমকাই উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার ২নং ব্লকের জনকা এলাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমফান ঝড়ে হাজার হাজার গাছ উপড়ে গিয়েছে এই এলাকায়। সেই সমস্ত গাছ বিনা টেন্ডারে অবৈধ ভাবে বেচে দেওয়া হচ্ছিল। সেই কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় বলে দাবী।
জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন,এই ঘটনার আগে বহুবার তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই এলাকা দখল করতে এসেছে।কিন্তু তারা কোনোভাবেই এই এলাকা দখল করতে পারেনি।তাই তারা পুনরায় আজ আবার বেশ কয়েকজন তৃণমূলের সশস্ত্র দুষ্কৃতীকে পাঠিয়ে বিজেপির নেতা কর্মীদের বাড়িতে এসে তাদের উপর হামলা চালিয়ে যায়।পাশাপাশি আমাদের জেলা সম্পাদক পবিত্র দাস কে গুলি চালায় তৃণমূলের সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা।এই ঘটনার পর গুরুতর জখম অবস্থায় আমাদের জেলা সম্পাদককে উদ্ধার করে পুলিশের সহযোগিতায় তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে এদিন এই ঘটনার ঘন্টাখানেক পর ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় খেজুরি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।আর তার পরেই বিজেপি কর্মীদের হামলার প্রতিবাদে দীঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। সেই সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত পথ অবরোধ চলবে বলেও দাবী জানিয়েছেন তাঁরা।
এই ঘটনা নিয়ে জনকা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসিম মন্ডল বলেন,এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়।তাছাড়া বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আমাদের কোনো দলীয় কর্মীরা হামলা চালায়নি,বরং বিজেপির কর্মীরা আমাদের বেশকয়েকটি দলীয় কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে।তাছাড়া এলাকা দখলের কথা পুরোপুরি মিথ্যে।কারন ওটা আমাদের নিজেদের জেতা বুথ।তাহলে কেনো আমরা ওই এলাকা দখল করতে যাবো ? তাছাড়া বিজেপি কর্মীরাই ওই এলাকা দখল করার জন্য নিজেরাই বোমাবাজি করছেন। নিজেদের কর্মীরাই আবার গুলিবিদ্ধ হচ্ছেন।আমরা কোনো বিজেপির কর্মীকে গুলি চালাইনি।তাছাড়া বিজেপির অন্দরের কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা।
খেজুরী থানার ওসি সত্যজিৎ চানক বলেন,এই ঘটনা নিয়ে এখনও পযর্ন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।তাছাড়া পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত করেই অভিযুক্তদের ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।