পত্রিকা প্রতিনিধিঃ পূর্ব মেদিনীপুরে শিশির-শুভেন্দু অধিকারীদেরই একাধিপত্য। তবুও তাদেরকে উপেক্ষা করে এবং দলীয় নির্দেশ অমান্য করে পাঁশকুড়া পুরসভার পুরপ্রধান পদের শপথ নিয়েছিলেন আনিসুর রহমান। দল বহিষ্কার করার পরেও ৪ অক্টোবর পাঁশকুড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণোমূলের ব্যানারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে সভা করেছিলেন আনিসুর। তিনি বলেছিলেন, কোনও অধিকারীর কথায় নয়, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বলেন তবে তিনি পদত্যাগ করবেন।
কিন্তু সেই সভার দুদিনের মধ্যে শুক্রবার মহকুমা শাসকের অফিসে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিলেন আনিসুর রহমান। এই ইস্তফা নিয়ে রহস্য দানা বেধেছে। কি এমন ঘটল ৪৮ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই তড়িঘড়ি তমলুকে মহকুমা শাসকের দফতরে মহকুমা শাসক না থাকলেও তাঁর প্রতিনিধির হাতে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে কি নেত্রীর নির্দেশ? কথা ঘুরিয়ে আনিসুর বলেন, দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিনি তাই করেছেন। তা হলে ৬ সেপ্টেম্বর পুরপ্রধান নির্বাচনের দিন দলের নির্দেশ মানলেন না কেন? তাঁর উত্তর- সেরকম কোন নির্দেশ নাকি তাঁর কাছে আসেনি। দলের নির্দেশ না মানার জন্য তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় আনিসুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু আজও তৃণোমূলের এক সৈনিক বলে দাবি করেন আনিসূর। পাঁশকুড়া পুরসভার মোট ১৮ টি আসনের মধ্যে ১৭ টি আসনে জয়লাভ করে বোর্ড দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস । এর পর গত সেপ্টম্বর মাসের ৬ তারিখে পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের হুইপকে অগ্রাহ্য করার অভিযোগ ওঠে পাঁশকুড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার আনিসুরে রহমানের বিরুদ্ধে ।